পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*33 চাৰুশীলা নাটকf সতিশ। এদিকে দেখ, নবপ্রস্থত মৃগশাবকগণ লঙ্ক ঝম্প করিয়া কেমন সকৌতুকে মৃত্য কচ্চে। বিজয় । (অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া ) সখী ! অবলোকন কর, স্নানমুখী সরোজিনীসমূহ দিনকর সমাগমে বিকসিত হইয়া কেমন মন্দ মন্দ বায়ুহিল্লোলে দোলায়মান হচ্চে । সতিশ। আবার দেখ, জলপ্রিয় মরালকুল শ্রেণীবদ্ধ হ’য়ে কেমন মনের সাধে ঐ সরোবরে যথা তথা সাতার দিচ্চে । বিজয় ! কি আশ্চর্য্য ! পক্ষিগণের মধ্যেও দম্পতীপ্রণয় দৃষ্টি গোচর হয়। দেখ, চকোর, চকোরীর সঙ্গে ঐ কদম্ব-ভৰুশাখায় বসে কেমন অনন্যমনে প্রিয়ালাপ কচ্চে । আহা ! এই স্থানটা কি প্রতিদায়ক ! হঠাৎ দেখলে বোধ হয়, যেন স্বয়ং কন্দপের বিলাস কানন । সতিশ। বন্ধু! কবিগণ যে বলে, এইরূপ স্থানে না আসিলে, মনের প্রকৃত সুখ শান্তি পাওয়া যায় না, তা যথার্থ । বিজয়। ভাই! ও কথা বলে না, সংসারাশ্রমে থেকে, যে ব্যক্তি মনের প্রকৃত মুখ ও শান্তি লাভ করেন, তিনিই প্রকৃত মুখী । সভিশ। সভ্য, কিন্তু ভাই এ অতি কঠিন অনুষ্ঠান, মনুষ্যজীবনে প্রায়ই দেখা যায় না । - বিজয় । সখী ! তুমি জ্ঞানী হয়ে, কেন এরূপ অজ্ঞের ন্যায় ৰাক্য প্রয়োগ কচ্চ ? দেখ, এই জগতই ইহার প্রত্যক্ষ নিদর্শন, এখানে কত শত পূণ্যাত্মা সংসারাশ্রমে থেকে কেমন অপরিমেয় মুখ লাভ ক’রে গেছেন । সভিশ। কিন্তু ভাই, আজ কাল সেটা দেখা যায় না।