পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- তৃতীয় অঙ্ক । ৩৫* বিজয় । না ভাই, আজো জগৎমাতা প্রকৃত মুখ প্রসবে थझा इन मांई 1 সতিশ। তৰে প্রকৃত সুখ শান্তির উৎপত্তি কোথায় ? বিজয় । দম্পতীদিগের অকৃত্রিম প্রণয়ে । সভিশ। সেই অকৃত্রিম প্রণয় অতি বিরল ! বিজয় । বিরল কেবল প্রেমীকের দোষে, কেন না, ভঙ্গশীল প্রণয়রজ্জ্বতে বদ্ধ হবার পূৰ্ব্বে উহাদের উভয়ের হৃদয় এক হওয়া । উচিত । দেখ, নলরাজার হৃদয় কি কঠিন, লৌহ যে এত কঠিন, তথাচ সময়ে দ্রবীভূত হয় । আহা! পতিবিয়োগকাতরা দময়ন্তী স্বামীসহ যখন নিবীড় বনমধ্যে অঘোর নিয়ায় অভিভূত ছিলেন, বিশ্বাসঘাতক নলরাজা অৰ্দ্ধবন্ত্রায় তারে পরিত্যাগ করে কি পৰ্য্যন্তই না তার কোমল হৃদয়ে ব্যথা প্রদান ক’রেছিল । সভিশ। বন্ধু ! পুৰুষেরা যেমন অবিশ্বাসী, স্ত্রীলোকেরাও তাহাপেক্ষ সহস্ৰগুণে অবিশ্বাসীনী ! দেখ, যাজ্ঞসেনী, র্যাকে সকলে সতী ব’লে মানেন, তিনি কিনা পঞ্চস্বামীকেও প্রতারণা করে অন্য পুৰুষে আসক্ত হয়েছিলেন। বিজয় । (দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে ) সখা ! সে যাহোক যার জন্য আমি স্বদেশ ত্যাগ, পিতা যাতা ত্যাগ ও রাজ্য ত্যাগ করে এখানে রয়েছি, সেই চিত্তবিলাসিনীকে কি পাব ? সে কি আমার সুখ দুঃখের ভাগিনী হবে ?—না অামার আশা মাত্রই সার । সক্তিশ । (স্বগত) সেই কামিনীই এর সর্বনাশ কলে, কি কুলক্ষণে যে দেখা হয়েছিল, আর ভুলতে পাল্পে না, কি. কায়িক পরিশ্রমে, কি উপদেশ বাক্যে, কিছুতেই এই মায়ারূপ । মোহজাল হ’তে নিরস্ত কত্তে পাক্সেম মা ! (দীর্ঘ নিশ্বাস