পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ চাৰুণীলা নাটক । (দীর্ঘ নিশ্বাস ) যদি কোন কার্ঘ্যে ব্যস্ত থাকে, সে মঙ্গল, যদি স্বাসী দেখতে না পেয়ে থাকে, সেও মঙ্গল, যদি পিতার—— চারুশীলার প্রবেশ । চাৰু। ( প্ৰণাম করিয়া) পিতঃ ! প্রণাম হই খুড়া মহাশয় ! প্রণাম ছই । ধৰ্ম্মশীল । এস, মা এস, এখানে বসে ! ( অঙ্কে ধারণ ) চাৰু । পিতঃ ! আসতে বিলম্ব হয়েছে বলে কি আপনি বিরক্ত হয়েছেন ? ( উঠিয়া চরণ ধারণ ) পিতঃ ! ক্ষমা কৰুন, অপরাধ ধৰ্ম্মশীল। না রাগ করিনে, আজ শরীরটা কিছু অমুস্থ আছে। চাৰু । পিতঃ ! আপনকার কি অমুখ হয়েছে ? ধৰ্ম্ম । কাল রাত্রে নিদ্রা হয় নাই, তাই আর—— চাৰু । থামৃলেন কেন ? পিতঃ ! আপনকার মুখ মলিন দেখে আমার বুক বিদীর্ণ হচ্চে, মন অস্থির হচ্চে, কত ভয় হ’চে । পিতঃ ! সামান্য কারণে আপনকার মুখ তো কখন বিষঃ হয় না ? পিতঃ ! আপনকার অধিকতর অমুখের সময় দেখেছি, ঘোরতর দুঃখের সময়েও দেখেছি, আমায় দেখলে যে আপনি সকলই ভুলে যেতেন। পিতঃ আজ কি অমঙ্গল ঘটেছে ?—কি সৰ্ব্বনাশ হয়েছে ? (ক্ৰন্দন ) হেমচন্দ্র । বাছা ! শাস্ত হও, অশ্রুজল সংবরণ কর। ( নিজ বস্ত্র দ্বারা অশ্রুজল মার্জন ) ধৈৰ্য্য, বুদ্ধি, সুশীলতা প্রভৃতি যা কিছু সদগুণ, সকলি তোমাতে আছে, মা, আজ আমাদের একটা অনুরোধ রক্ষা কর। ( একখানি পত্র প্রদান )