পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক f ማቄ চাৰু ! (স্বগত) এখন কি করি, প্রাণনাথকে পাবার অাশা ভরসা তো নির্মল হলো । কাল দেবীসমক্ষে নাথের নিকট বে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, সে প্রতিজ্ঞ মনেই রহিল, পূরণ হলো না। নাথের অমঙ্গলের ভয়ানক অমঙ্গলের ভয়ে আমি চির দিন অবিবাহিতা থাকৃবো, কিন্তু নাথ তো তা মনে করবেন • মা ! নারীজাতির প্রেমের লঘুত্ব দেখে কত ভৎসনা করবেন, সভীত্বে কত কলঙ্ক দেবেন । নাথ ! স্বয়ং ধর্মরাজ ভীষণ মৃত্যু দও দ্বারা প্রাণ বিনাশ কত্তে উদ্যত হ’লেও এ হৃদয় তোমা ভিন্ন অন্য কাহারো অধিকৃত হবে না । নিশানাথ বিশ্বনাথের আদেশানুসারে পক্ষ পরে স্থানান্তরে গমন করেন । কিন্তু কখন স্থানভ্রষ্ট হন না; সেই নিয়মিত নিশাহৃদয় উদয়াচলে পুনৰুদয় হইয়া পৃথিবীর তমোবসন পরিত্যাগ করান, পৃথিবীকে চাৰুহাসিনী করেন । নিশা কি চন্দ্রবিরহে ক্ষুদ্র নক্ষত্রকে পতি ব’লে বরণ করেন ? তার প্রেমালিঙ্গনে অভিলাষিণী হন ? কখনই না । নাথ ! তোমার প্রতি অাশা এক্ষণে অস্তাচলে গিয়েছে, উদয়ের আশা নাই ! প্ৰাণেশ ! তোমার সেই চির প্রভাময় প্রেমজ্যোতি আমার অন্তরে সমভাবে উদিত রয়েছে, মিৰ্ব্বাণ হয় নাই, হইবেও না ! (দীর্ঘনিশ্বাস) পিশাচ কুলটগণ কেমন ক’রে এ দীপ নিৰ্ব্বাণ করে ? অনেকে আবার প্রবল । বিরহানল সহ্য কত্তে না পেরে স্বচ্ছন্দে অপরের প্রণয়িণী হয়, অপরকে স্বামী ব’লে সম্বোধন করে । তাদের প্রণয়মূল তুলতে কি হৃদয় ছিড়ে যায় না? এক বিন্দু রক্তও পড়ে না ? নাথ ! এ হৃদয়-চিত্রপটে যে প্রেমপ্রতিমা চিত্রিত রয়েছে, এ কি কখন মুছতে পারবো ? (দীর্ঘনিশ্বাস) উঃ– to