পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশির লেগে আছে— শিলাইদহের ঘাটে যখন ফিরলেম তখন চতুর্দশীর চাদ মধ্যগগনে। আমার সেই জ্যোৎস্নাজড়িত নদীটি স্মিত বিষন্ন হাস্তে বল্লেন, আমাদের সেই কলহংসমুখর নির্জন বালুতটে বহু শরতের মৌন মিলনসুখ একেবারে বিস্মৃত হয়ে তুমি এখন ডাঙার মথুরায় রাজত্ব করতে গেছ ! আমি তার একটি অক্ষর জবাব দিতে পারলুম না— একেবারে নিঃশব্দে চোকিটিতে বসে রইলুম। নিকেবাধের মত রাত্রে ফিরে এসে তোমার চিঠি পেলুম। আজ প্রাতে উন্মুক্ত বাতায়নে তুরন্ত দক্ষিণ বাতাসে উত্তর দিতে বসেছি— বৃষ্টিধারাস্নাত কিশোর আলোকটি পূর্ণমঞ্জরিত ধান্তের ক্ষেত্রে তরঙ্গে তরঙ্গে দোলায়মান । তুমি ত তাধিব্যাধিতে পঙ্গু হয়ে গলির ধারে পড়ে আছ, এ সময়ে তমি কোন প্রলোভনের অাকর্ষণে শেয়াল দহের অভিমুখে দৌড়বে বলে বোধ হচ্চে না । বাশি বাজলে গোপাঙ্গনার ছুটোছুটি করে যমুনাতটে উপস্থিত হত বটে কিন্তু তোমার মত তাদের কারো পায়ে ফোড়া হয় নি— বৃন্দাবনে দশ প্রকারের দশ। এবং স্বেদ পুলক বেপথু স্তম্ভ মূৰ্ছা প্রভৃতি বিবি কিন্তু কারো পায়ে ফোড়া হত না এবং একা কৃষ্ণ ধ উপসর্গ ছিল সকল ঘটকালির পথ রোধ করে ত্রিভঙ্গমূরতি ধরে দাড়িয়ে থাকতেন । যাহোক তুমি আর যে কোন ব্যবসায় অবলম্বন কর ঘটকের কাজে শাশ্বতী প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে না । অতএব বুথ চেষ্টায় নিজেকে ক্ষুব্ধ কোরো না— নদী যেমন চলতে চলতে এক לא מ צ