পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেণুকার শরীর এখানে কি রকম থাকবে এখনো বলা যায় না। ব্যামো কখনো বাড়ে কখনো কমে— কমবার সময় আশা জন্মে বাড়বার সময় আশঙ্কা । স্থানের গুণ এখনো সম্পূর্ণ বুঝতে পারিনি। প্রতীক্ষা করে রয়েছি। ι তোমার “চোখের বালি” ছাপা সম্বন্ধে যে তুৰ্য্যোগ উপস্থিত হয়েছে শৈলেশকে আমি সেজন্যে নিরপরাধ গণ্য করতে পারি নে। প্রত্যেক ফৰ্ম্মাটি ছাপা হলে তার দেখে নেওয়া উচিত ছিল। যাই হোক ছাপাখানাই এজন্ত দণ্ডনীয়। শৈলেশ যে তাদের তাগিদ করে এখনো কেন ছাপিয়ে নিচ্চে না বুঝতে পারচিনে। . কাজের লোক নয় এটা বেশ বুঝেছি। আমার ঝড় তুফানের মধ্যে তোমার বইখানি মারা গেছে। যখন রেণুকা ও দলবল নিয়ে হাজারিবাগের পথে চলেছিলুম তখনই বোধ হচ্চে মধুপুর ষ্টেশনের ভোজনাগারে বা স্নানাগারে কিম্বা আর কোথাও সেখানি হারিয়েছে । পথক্লেশ নিবারণের জন্য সেই একখানি মাত্র বই আমার সম্বল ছিল । বালকবালিকা দাসদাসী সিন্ধুক বাক্স পোটুলা পুট্‌লি নিয়ে নানা পথ দিয়ে বিচিত্র যানবাহনযোগে যাওয়ার যে কি দুঃখ এবার তা পেট ভরে বুঝে নিয়েছি। সামনে অন্তত আর একবার সেই বিপত্তি আছে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে আছি । তাই ত তোমাকে জিজ্ঞাসা করচি “কোথা এই যাত্রা হবে শেষ ?” ইতি শনিবার রবি { ৩০ মে ১৯ • ও শনিবার } ఇ a ఊ