পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই । তাহার এ বিবাহে বিশেষ ইচ্ছা আছে তাহার মাতার অনুমতি পাইলে সে সুস্থচিত্তে এ কার্য্য সমাধা করে— মা’কে দুঃখ দিয়া নিজের সুখ অর্জন করিতে চায় না। দেখা যা’ক ফলে কি দাড়ায় । তুমি আমাতে কি গুণ দেখিয়াছ বলিতে পারি না। পণ্ডিত মহাশয়ের নিকট শুনিলাম, তুমি আমাকে অশেষ পাণ্ডিত্যের আধার বলিয়া বর্ণনা করিয়াছ— ইহাতে আমি বড়ই লজ্জিত হইয়াছি । তোমার চক্ষে আমি যেরূপ বাস্তবিক অামি তেমন নই-— কিন্তু স্নেহের চক্ষে স্নেহ-পাত্র বাস্তবিক গুণহীন হইলেও যদি অসামান্ত গুণী বলিয়া প্রতিভাত হয়, তাহাতে বড় একটা আসিয়া যায় না । ইহাতে যদি কাহারও ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা থাকে ত সে যে স্নেহ করে তারই– সে মুগ্ধ-হৃদয়ের কাছে যখন সত্য আবিষ্কৃত হইয়া পড়িবে তখন তারই ভারি দরদ লাগবে । তোমার সেই সুন্দর “আপদ” নামক গল্পটি মনে কর । কিন্তু অপর সকলে যখন সেই সিংহচৰ্ম্মাবৃত গর্দভের খাটি গর্দভত্ব জানিতে পারিবে, তখন কি লজ্জা ! কি ধিক্কার ! আমার যে গুণ নাই অপরে তামাতে তাহ আরোপ করিলে বড়ই লজ্জিত হই— এবং তাহার সেই ভ্রম যাহাতে শীঘ্র দূর হয় তন্নিমিত্ত ব্যস্ত হই । তবে তোমার প্রশংসা অামার পক্ষে এক হিসাবে বড়ই হিতকর । তুমি আমাকে যেমনটি ভাব, তেমনটি হবার জন্য প্রয়াস পাই– তোমার উপযুক্ত বন্ধু হইতে চেষ্ট৷ ミやハ○