পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অামি যাহা বলিয়াছি তাহাই প্রকৃত কথা । ‘তমস্বিনী’ সম্বন্ধে তোমার সংক্ষিপ্ত অভিপ্রায়টি ঠিক বলিয়াই বোধ হয়। নগেনবাবু যখন আমাকে বইখানি দিতে আসেন তখন তিনি একটু গর্বের সহিতই যেন বলিয়াছিলেন যে এই উপন্যাসে তিনি অনেক বিষয় খুব freely deal করেচেন— দৃষ্টাস্তের স্বরূপ বলেন উহার ভিতর বারাঙ্গনা প্রভৃতির অনেক কথা আছে। কিন্তু কোন গ্রন্থে কি আছে না আছে তাহাতে কি আসিয়া যায়— যাহা অাছে তাহা বেশ স্বভাব-সঙ্গত এবং কলা সৌন্দর্য্যে উদ্ভিন্ন কিনা তাহাই বিবেচ্য। তুমি গ্রন্থের যে দোষের উল্লেখ করিয়াছ তাহা ছাড়া ইহাতে একসূত্রতার বিলক্ষণ অভাব আছে— যেন কয়টা গল্প পরস্পরের অধ্যায়ের মধ্যে বিক্ষিপ্ত হইয় এক নামে অভিহিত হইয়াছে। তা’ ছাড়া ঘটনা অনেক আছে – কিন্তু তাহাদের স্বাভাবিক পরিণামও নাই আবৰ্ত্তও নাই। সুতরাং পাঠশেষে কেমন নিরাশ হইতে হয়— তৃপ্তি আদবেই হয় না । # শ্ৰীপ্রিয়নাথ সেন ૨૭ જ