পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“রেণু” সম্বন্ধে আমার বক্তব্য প্রকাশু সমালোচনায় বলিবার ইচ্ছা আছে – কিন্তু তোমাকে যখন লেখিকা আমার মত জানিবার জন্য উত্যক্ত করিয়াছেন, তখন মনের কথা আর চাপিয়া রাখিতে পারি না । তোমাকে সত্য বলিতে কি ? আমাদের কোন স্ত্রী-কবিরই লেখায় আমি কবিত্বের সুস্থ সুন্দর বিকাশ দেখি নাই— মৌলিকতা ত নাই-ই। কেহই ঠিক স্বরটি লাগাইতে পারেন নাই— কাচা ভাষা— অপরিণত ভাব— কাব্যকলার মধ্যে আমরা যে পূর্ণতা— উচ্ছাসের সঙ্গে যে সংযম দেখিতে চাই তাহা কাহারও নাই । আর সংযম বা কিসে আশা করা যাইতে পারে যাহার দুরন্ত উচ্ছ্বাস আছে তাহারই ত সংযম চাই— এদের কাহারও ভিতর আমি ভাব বা অনুভূতির গভীরতা— আবেগ বা আবৰ্ত্ত দেখি নাই— নিজের করিয়া কিছু দেখিবার ক্ষমতা নাই— সুতরাং কাহারও কিছু বিশেষত্ব নাই– সবই দরিদ্ৰ— সুতরাং সংযমের পরিবর্তে ভাব-দরিদ্র কবিত্ব-হীন ভাষা কেবল চীৎকার করিয়া মরিতেছে— ‘রেণুর লেখিকা কেবলমাত্র একজন স্ত্রী কবি র্যাহার দেখিবার চক্ষু আছে– বলিবার কথা আছে— সুতরাং তিনি আমাদের যাহা দিতেছেন তাহা উচ্চদরের হৌক বা না হোক— তিনিই কেবল তাহা দিতে পারেন— অপরে পারে না। র্তার ভাষাটি বড়ই সুন্দর — এবং বেশ পরিণত । তিনি পরে আমাদের আরও বিচিত্র এবং উচ্চশ্রেণীর কবিতা দিতে পারেন— কিন্তু তাহার ভাষার ভবিষ্যতে আর যে কি উৎকর্ষ হইতে পারে আমি বুঝিতে

ፃ »