পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসুক রহিলাম। শিবনাথ শাস্ত্রীর “কবি ও কবিত্ব” জমিয়াও জমে নাই— শেষের দিকটা নিতান্ত ফাকা ঠেকিল । দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতাটি সম্বন্ধেও ঐ কথা খাটে । ভাই আজ এখনও তোমার কোন পত্র পাইলাম না— তুমি কি এখন পদ্মার চরে বিচরণ কর্চ ? শ্রীপ্রিয়নাথ সেন >b" [ অক্টোবর ?, ১৯ • ২ ] বঙ্গদর্শনে তোমার “মন্দ্র” সমালোচনা সম্বন্ধে বক্তব্য আছে । কিন্তু আগে “চোখের বালি”র কথা পাড়িব । সংখ্যায় সংখ্যায় বিচ্ছিন্নভাবে পড়িবার দরুণ সমগ্র পুস্তকের ঘটনাসঙ্ঘাত হৃদয়ে জমিতে পারে নাই। সুতরাং উপসংহারটি পূৰ্ব্বাদ্ধের অসামান্ত উৎকর্ষের অনুরূপ হইয়াছে কিনা আর একবার সমস্ত গল্প না পড়িলে বলিতে পারি না। তবে এ সংখ্যায় যে কয়েকটি অধ্যায়ে গল্প শেষ করিয়াছ তাহ অকৃত্রিম রস-প্রাচুর্য্যে এবং ঘটনাবলীর নৈসর্গিক বিকাশে হৃদয়কে অভিভূত করে। মৃত্যুশয্যার পার্শে অপরাধী পাত্রপাত্রীকে আনিয়া এবং মৰ্ম্মাহত বন্ধু ও পাত্রীকে দাড় করাইয়া পাপতাপক্ষুব্ধ ঘটনাসঙ্ঘের ক্ষিপ্ত আবৰ্ত্তকে নাট্য প্রধানের চতুর কলাকৌশলে বেশ শান্তি এবং সমাপ্তির দিকে লইয়া গিয়াছ। পড়িতে পড়িতে অনেকবার চক্ষুজল মুছিতে

ግ8