পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘কুষ্ঠি'র প্রসঙ্গ আছে। প্রিয়নাথ সেন ফলিত জ্যোতিষের চর্চা করিতেন । রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী একটি প্রবন্ধে ফলিত জ্যোতিষের প্রামাণিকতা সম্বন্ধে সংশয় প্রকাশ করেন ; ফিলিত জ্যোতিষ’ নামে একটি প্রবন্ধে (প্রিয়-পুষ্পাঞ্জলি গ্রন্থে সংকলিত ) প্রিয়নাথ সেন তদুত্তরে লেখেন— যদি কোন একখানি কোষ্ঠী পরীক্ষা করিয়া দেখাইতে পারি যে, তাহা জাতকের প্রকৃতি এবং জীবনের ঘটনাদির সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে মিলিতেছে’ ‘তাহা হইতে নিরপেক্ষ পাঠকগণ বিচার করিবেন, ফলিত জ্যোতিষকে হাসিয়া উড়াইয়া দেওয়া কতদূর সঙ্গত। অতঃপর রবীন্দ্রনাথের নাম প্রথমেই উল্লেখ না করিয়া তিনি এই প্রবন্ধে তাহার কোষ্ঠী বিচার করেন— জাতকের লগ্ন মীন, সর্বশ্রেষ্ঠ শুভগ্রহ বৃহস্পতির গৃহ। মীন রাশি স্বচ্ছবর্ণ। সুতরাং জাতকের বর্ণ গেীর । সেখানে আবার গ্রহদিগের মধ্যে যে দুটি এহ গৌরবর্ণ, চন্দ্র এবং বৃহস্পতি, তাহীদের পুর্ণপ্রভাব লক্ষিত হয়। চন্দ্র মীনরাশিতেই অবস্থিত এবং স্বামীগ্রহ বৃহস্পতি লগ্নকে পূর্ণদৃষ্টি করিতেছে। তাহাতে বর্ণকে আরও উজ্জলতর করিয়াছে। রূপ এবং আকৃতি কান্ত, মনোহর এবং শোভন স্বাস্থ্য এবং বল সম্বন্ধে ঐ কথাই খাটে। তিনি সুস্থদেহ এবং বলশালী । ఫిసె