পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথাবাৰ্ত্তার দরকার হয় না । আমরা বোধ হয় এখন দুজনে এক ঘরে চুপ করে বসে থাকতে পারি। জানিনে আমাকে তুমি কিরকম মনে কর— কিন্তু আমি তোমার কথা বেশ বুঝতে পারি— তোমাকে অত্যন্ত প্রতিবেশী বলে বোধ হয়— দুজনের এক ভাষা। আমার মনে হয় আমি ছাড়া তোমার অনেক কথা আর কেউ ঠিক অক্ষরে অক্ষরে বুঝতে পারে না। তর্ক সকলেরই সঙ্গে করা যায়— কিন্তু সকলের সঙ্গে কল্পনা করা যায় না । তাই সংসারের মধ্যে সকলে কল্পনার উপরে অবিশ্বাস জন্মিয়ে দেয় – কল্পনাকে কেবল নিতান্ত আমারই খেয়াল বলে মনে হয় — তার পরে তোমার সঙ্গে যখন কল্পনার মিলন হয় তখন তাকে আবার সত্য বলে বিশ্বাস হয়— তার পক্ষে একটা প্রমাণ পাওয়া যায় । তোমার সেই রাস্তার ধারের ঘরের positionটি কিছু নিতান্ত poetical নয় কিন্তু অনেক সময়ে সেই ঘরে গিয়ে আমার মনে হয়েচে আমি যেন বাগানে গিয়েচি । তোমার ওখেনে সমুদ্র-পারের মাঠ থেকে বনফুল-দোলান’ বাতাস বয়। অামার মনে হয় যেন তোমার ও ঘরের সঙ্গে কলকাতার Municipalityর কোন সংশ্ৰব নেই। আমি যেন কলকাতা থেকে তোমার ওখানে যাই, তোমার ওখেন থেকে কলকাতায় ফিরি। তোমার ওখেনে খানিকক্ষণ থাকলে আমার একরকম বিষাদ জন্মায় আমার মনে হয় আমি যেন একটা-কিছু করতে পারি কিন্তু করতে পারচিনে। আমি যা-কিছু লিখেছি যা’ 〉b"