পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ জায়গাটা যে খুব মনোরম তা নয়— জমিতে ঘাস নেই— গাছে পাতা নেই— জলাশয়ে জল নেই— লোকালয়েও অধিক লোক নেই— চারিদিক মরুভূমির মত ধু ধু করচে। আমার এই লেখবার ঘরের জানলার ভিতর দিয়ে কেবল প্রখর রৌদ্র ও তপ্ত বাতাস আসে, কোন সুন্দর বা বিচিত্র দৃশ্য দেখা যায় না । দেখতে দেখতে দেয়াতের কালী শুকিয়ে জমে আসে– শরীরের ঘৰ্ম্ম সজলাবস্থা প্রাপ্তির পূর্বেই শুকিয়ে যায়— বোধ করি শোকের সময় অশ্রুজল একান্ত তুর্লভ হয়ে ওঠে। রচনা করবার সময় অামার কাব্যরস শুকিয়ে আসে কিনা জানিনে কিন্তু আমার কালী শুকিয়ে বাস্তবিক লেখবার বড়ই ব্যাঘাত করে । সম্প্রতি একদা সন্ধেবেলায় এখানকার ইংরেজমণ্ডলীর সঙ্গে খেলবার সময় পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে বসে আছি । আজকালের মধ্যে শীঘ্রই পুনশ্চ উত্থান করবার সঙ্কল্প করচি। রাজধানীর সংবাদ কি ? দিনকতক কলকাতায় এক বেলুনবাহনের পূজো চলছিল— এখন কি রকম অবস্থা ? সাহিত্যআকাশে কি কোন বায়ুবিহারী ওড়বার চেষ্টা করছে ? তোমার পুথি-হুর্গের নতুন খবর কিছু আছে কি ? এমন আরো সহস্র প্রশ্ন তোমাকে করা যায় কিন্তু জানি এর উত্তর পাবার সম্ভাবনা বিরল— অতএব ক্ষান্ত থাকা গেল । উত্তর দাও বা না দাও চিঠির প্রারম্ভে যে কাজের উল্লেখ করা গেছে সেটার প্রতি বিশেষ মনোযোগ কোরো । নগেন্দ্র বোসের সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হয় কি ? আমি তার তুখানা চিঠি পেয়েছি— এবং তার (? X