পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Ο ১৮ নভেম্বর ১৯১৮ { শাস্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু, রাণু, যাবার সময় তুমি মন খারাপ করে চোখের জল ফেলে চলে গিয়েচ তাই আমারও মনটা ব্যথিত আছে। আজই ছোট্ট এই চিঠি তোমাকে লিখে পাঠাচ্চি— যেদিন কাশীতে পোঁছবে তার পরদিনেই এটি তোমার হাতে গিয়ে পড়বে। এতক্ষণে তুমি রেলগাড়িতে ধকধক্‌ করতে করতে চলেচ, কত ষ্টেশন পার হয়ে চলে গিয়েচ— আমাদের এই লালমাটির, এই তাল গাছের দেশ হয়ত ছাড়িয়ে গেছ বা। আমার পূব দিকের দরজার সামনে সেই মাঠে রৌদ্র ধৃ ধূ করচে এবং সেই রৌদ্রে নানা রঙের গোরুর পাল চরে বেড়াচ্চে। এক একটা তালগাছ তাদের ঝাকড়া মাথা নিয়ে পাগলার মত দাড়িয়ে আছে। আজ দিনে আমার সেই বড় চৌকিতে বসা হল না— খাওয়ার পর এভুজ সাহেব এসে আমার সঙ্গে বিদ্যালয়ের ভূত ভবিষাং বৰ্ত্তমান সম্বন্ধে বহুবিধ আলোচনা করলেন তাতে অনেকটা সময় চলে গেল। তারপরে নগেন বাবু” নামক এখানকার একজন মাষ্টার তার এক মত্ত তর্জমা নিয়ে আমার কাছে সংশোধন করবার জন্যে আনলেন— তাতেও অনেকটা সময চলে গেল। সুতরাং বেলা তিনটে বেজে গেছে তবু আমি আমার সেই ডেস্কে বসে আছি— বই কাগজ খাতা দোয়াত কলম ওষুধের শিশি এবং অন্য হাজার রকম জবড়জঙ্গ জিনিসে আমার ডেস্ক পরিপূর্ণ— তার মধ্যে এমন অনেক আবৰ্জ্জনা আছে যা এখনি টেনে ফেলে দিলেই চলে, কিন্তু কুঁড়ে মানুষের মুশকিল এই যে, আবশ্যকের জিনিস সে খুঁজে পায় না, আর অনাবশ্যক জিনিস না খুজলেও {য] তার সঙ্গে লেগেই থাকে। এমন অনেক ছেড়া লেফাফা কাগজ-চাপা দিয়ে >の○