পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\ల ৩ ডিসেম্বর ১৯১৮ [ শান্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু, রাণু, আজকের তোমাকে সব খবরগুলি দেওয়া যাক। অনেক দিন পরে আজ আমার ইস্কুল খুলেছে। আজ থেকে ইস্কুল মাস্টারি ফের সুরু হল। আজ সকালে তিনটে ক্লাস নিয়েছি। কিন্তু ছেলেরা সব আসে নি। খুব কম এসেচে। বোধ হয় ব্যামোর ভয়ে আসচে না – আমার বৌমা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেছেন জিজ্ঞাসা করেচ। তিনি পাড়াতেই আছেন। আমি যে ঘরে থাকি— তার সামনে এক লাল রাস্তা আছে— তার ঠিক ওধারেই এক দোতলা ইমারত তৈরি হচ্চে— তারই একতলা ঘরে তিনি বাস করেন। শ্ৰীমতী তুলসীমঞ্জরী তাকে আচ্ছ। আচ্ছ কাহনী শুনাতী হৈ। কিন্তু সেটা আমি আন্দাজে বলচি। কিছুকাল থেকে তার কণ্ঠস্বরও শুনি নি, তাকে দেখতেও পাই নি— তাই আশঙ্কা হচ্চে সে হয় ত তার সেই রূপকথার “কদু’র মধ্যে ঢুকে পড়েচে। আজকাল বৌমার এক সখীকে প্রায়ই লাল রাস্তা পেরিয়ে এ বাড়ী থেকে ও বাড়ী আনাগোনা করতে দেখি— তার নাম ননীবালা। যাই হোক পাড়ার সমস্ত খবর রাখবার সময় আমি পাই নে, আমি কখনও বা আমার সেই কোণের ডেস্কে কখনো বা সেই লাইব্রেরি ঘরের টেবিলে ঘাড় হেট করে কলম চালিয়ে দিন যাপন করচি— সামনেকার খাতাপত্রের বাইরে যে একটি প্রকাণ্ড জগৎ আছে, তার প্রতি ভাল করে চোখ তুলে যে দেখা সে আর দিনের আলো থাকতে ঘটে উঠচে না। সন্ধ্যার পরে সেই নীচের বারান্দায় খাবার টেবিলটা ঘিরেই বৈঠক হয়— সেখানে তর্ক হয় বিতর্ক হয় এবং মাঝে মাঝে গানও হয়ে থাকে। কারণ আজকাল ফের আবার দুটি একটি করে গান জমচে। সন্ধ্যার পরে সেই 〉のbr