পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবে ? যাই হোক এই কথাটা নিয়ে এখন থেকে ভাবনা করে কোনও লাভ নেই— সময় যখন উপস্থিত হবে তখন তোমাকে খবর দেওয়া যাবে। আমার যা কপালে থাকে তাই হবে। কিন্তু তোমার গুরু মা তোমাকে যে ছাদে বাংলা চিঠি লেখাতে চান আমাকে সেই ছাদে লিখলে চলবে না— তা আমার নামের আগে শুধু না হয় একটা “শ্রী”ই দেবে— কিম্বা শ্ৰী নাই বা দিলে। আমার বিলেত যাবার একটা কথা উঠেচে— কিন্তু শুধু কথায় যদি বিলেত যাওয়া যেত তা হলে আমার ভাবনা ছিল না, কথা একলা যদি না জোটাতে পারতুম তা হলে তুলসীমঞ্জরীকে ডেকে পাঠাতুম। কিন্তু মুস্কিল হচ্চে এই যে, বিলেত যেতে জাহাজের দরকার করে। যুদ্ধের উৎপাতে সেই জাহাজের সংখ্যা কমে গেছে অথচ যাবার লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে— তাই এখন “ঘাটে বসে আছি আনমনা যেতেছে -হিয়া সুসময় ।” এদিকে রোজ আমার একটা করে নতুন গান বেড়েই চলেচে। গানের সুবিধে এই যে তার জন্যে জাহাজের দরকার হয় না, কথাতেই অনেকটা কাজ হয়। প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। তুমি যদি দেরি করে আস তা হলে ততদিনে এত গান জমে উঠবে যে, শুনতে শুনতে তোমার চারুপাঠ তৃতীয় ভাগ আর পড়া হবেনা— তোমার শিশু মহাভারত বৃদ্ধ মহাভারত হয়ে উঠবে তুমি হয় ত এম এ পাস করার সময় পাবে না – শান্তি আমার বর্ণনা করে কি লিখবে শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে আছি— এক দিন তোমাদের ওখানে যখন গিয়েছিলুম আমার কাপড় ছেড়া ছিল, সে কথা যেন না লিখে দেয়, তুমি একটু দেখে শুনে দিয়ো— তুমি যে রকম করে আমার চুল আঁচড়ে দিয়েছিলে তার যেন একটু ভাল রকম বর্ণনা থাকে— সে পাখা করতে করতে আমার চুল যে রকম এলোমেলো করে দিত সেটা যেন না লিখে বসে। আর আমার নাক চোখ প্রভৃতি সম্বন্ধে শাস্তির > >○ > b lbr