পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিকেই ঈর্ষা দ্বেষ আত্মাভিমান, ঐ দিকেই যত দুঃখ যত গ্লানি। আমাদের ঋষিরা তাদের সাধনা থেকে যে একটি মহতী প্রার্থনা আমাদের দান করে গেছেন সেটি হচ্চে, তমসো [মা] জ্যোতিগময়— অন্ধকার থেকে আমাকে জ্যোতিতে নিয়ে যাও— অহঙ্কারের আবরণ থেকে আমার আত্মাকে মুক্ত কর। এই প্রার্থনা তোমার অস্তরের প্রার্থনা হোক এবং তোমাকে সমস্ত ক্ষুদ্রতা থেকে প্রলোভন থেকে রক্ষা করুক। নিরাসক্ত হয়ে তোমার প্রেম বিশুদ্ধ হোক, নিঃস্বার্থ হয়ে তোমার কৰ্ম্ম বিশুদ্ধ হোক, আত্মনিবেদনের দ্বারা তোমার পূজা বিশুদ্ধ হোক। জন্মদিনে তোমাকে কিছু দেব বলে সন্ধান করছিলুম। সন্ধান করতে করতে তোমার জন্মদিন এসে পড়ল। এখনো আশা ছড়ি নি— কিছু পাওয়া যাবে। উদ্দেশে আজই সেটা তোমাকে দিয়ে রেখে দিলুম— তার পরে সেটা তোমার হাতে পৌঁছতে যদি দেরি হয় তাতে ক্ষতি নেই। এই চিঠি পাওয়ার পরে আপাতত এখানে আমাকে চিঠি না লিখে কলকাতার ঠিকানায় লিখো, যে পর্যন্ত না শাস্তিনিকেতনে যাওয়ার খবর পাও । ইতি ৬ই কাৰ্ত্তিক ১৩২৬ তোমার ভানুদাদা Wo Go ১ 8 নভেম্বর ১৯১৯ শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু রাণু অনেক ঘুরে ফিরে কাল এখানে এসেছি। এতদিনকার চিঠি জমে পৰ্ব্বত সমান হয়ে উঠেচে। কত কালে সব জবাব সারা হবে জানি নে। እ» 8ፄ