পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\obr ১৩ জানুয়ারি ১৯২০ [ শাস্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু তুমি এত দেরীতে কেন আমার চিঠি পেয়েচ ঠিক বুঝতে পারলুম না। আমি তোমার চিঠি পেতে অনেক দেরী হল দেখে ভাবলুম হয় ত অমৃতসর কনগ্রেসে তোমাকে ডেলিগেট করেচে, কিম্বা হাওয়া জাহাজে কাপ্তেন রসের সঙ্গে তুমি অষ্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েচ, কিম্বা হিমালয়ের পৰ্ব্বতশৃঙ্গে কোন পওহারী বাবার শিষ্য হয়ে মাটির নীচে বসে একমনে নিজের নাকের ডগা নিরীক্ষণ করচ, কিম্বা লয়েড জর্জের" প্রাইভেট সেক্রেটারির সৰ্দ্দি হয়েচে খবর পেয়েই তুমি সেই পদের জন্য দরখাস্ত করতে ইংলণ্ডে চলে গিয়েচ। আমি পালামেন্টে লয়েড জর্জকে টেলিগ্রাফ করতে যাচ্চি ঠিক এমন সময়ে তোমার চিঠি পেলুম। পড়ে দেখি তুমি বরুণার ধারে কোথায় বেড়াতে গিয়ে আর একটু হলেই কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিলে। আশ্চৰ্য্য দেখ, কাল সন্ধে বেলায় আমারো প্রায় সেইরকম দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখন রাত্তির নটা। মুখ ধুয়ে বিছানায় শুতে যাচ্চি এমন সময়ে— কি বল দেখি ? আমার পড়বার ঘরে টেবিলের উপর— কি বল দেখি ? কুয়ো ? সেই রকমই বটে। এক কপি নৌকোডুবি বলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এক গল্পের বই। হঠাৎ তারি মধ্যে একবার ইঁচট খেয়ে পড়ে গেলুম। একেবারে শেষ পাতা পৰ্য্যস্ত তলিয়ে গেলুম। এত বড় বিপদ ঘটবার কারণ হচ্চে, বিলাত থেকে একজন ইংরেজ ঐ বইটা তর্জমা করবাল অনুমতি নিয়েছিল। আবার সেদিন আর একজন ইংরেজ’ ঐটে তর্জমা করতে চেয়ে আমাকে চিঠি লিখেচে । তাতেই আমার দেখবার ইচ্ছে হল, ওটার মধ্যে ইংরেজের ভাল লাগার মত জিনিষ কি আছে। >@令