পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাজ রীতিমত আরম্ভ হয়ে গেছে।” রোজই কমিটি মীটিং এবং ক্লাসের কাজও চলচে। ছেলেরা অনাবৃষ্টির পরে আষাঢ়ের ধারার মত কলরব করতে করতে এখানকার শূন্য ঘর সব পূর্ণ করে দিয়েচে। এখন আমার কাজের আর অন্ত নেই। মেয়েরা সকলেই পরশুরাম হয়ে উঠেচে— কুডুল নিয়ে ঠকাঠক গাছ কাটতে লেগে গেছে। তারা আছে ভাল। এ দিকে আকাশে মেঘ ও রৌদ্রের লুকোচুরি সুরু হয়েচে । ঠিক এই মুহূৰ্ত্তে মেঘগুলোকে কাপেটের মত গুটিয়ে আকাশের এক পাশে জড় করা হয়েচে, আর বৃষ্টি-স্নাত স্নিগ্ধ উজ্জ্বল রোদুর তার পরশপাথর ঠেকিয়ে সমস্ত আকাশকে সেনা করে তুলেচে। আমি আমার সামুনের খোলা জানলা দিয়ে ঐ শাল তাল শিরীষ মহুয়া ছাতিমের দল-বাধা বনের দিকে প্রায় তাকিয়ে থাকি। এখন আমার ঘড়িতে সাড়ে দুপুর, অর্থাৎ সাধারণ ঘড়িতে দুপুর। ছেলেরা তাদের মধ্যাহু [য] ভোজন শেষ করে দলে দলে কুয়োতলায় মুখ ধুতে আসচে— দীর্ঘ ছুটির দুঃখদিনের পরে কাকগুলো ছেলেদের এটো শাল পাতার উপর শ্রাদ্ধবাড়ির ভিখিরির পালের মত এসে পড়েচে, বাতাসটি মধুর হয়ে বইচে, জাম গাছের চিকন পাতার ঘনিমার উপর রৌদ্র ঝিলমিল করে উঠচে, পাটল রঙের দুটো গোরু ল্যাজ দিয়ে পিঠের মাছি তাড়াতে তাড়াতে ধীরমন্দ গমনে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্চে— আমি চেয়ে চেয়ে দেখচি আর ভাবচি। ইতি ১ জুলাই ১৩২৯ [১৯২২] उनूनानां b^రి