পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○○ ৩০ অগাস্ট ১৯২২ শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু, রাণু, আজ বুধবারে সকালে মন্দিরের কাজ শেষ করে যেই আমার কুটীরের সামনে উত্তর দিকের বারান্দায় বসেচি অমনি নানাবিধ চিঠি ও খবরের কাগজের সঙ্গে তোমার চিঠি এসে পেছিল। এর আগে দুই একদিন খুব ঘন বৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল— আজও ৰূপাকার কালো মেঘ আকাশক্ষেত্রের এদিকে ওদিকে ভ্ৰকুটি করে বসে আছে; এখনি তারা বৃষ্টিবাণ বর্ষণ করবে বলে ভয় দেখাচ্চে। কিন্তু আজ প্রথম সকালে মেঘের ফাক দিয়ে অরুণোদয় খুব সুন্দর হয়ে দেখা দিয়েছিল— আমি পূব দিকের বারান্দায় তখন বসেছিলুম, আমার মনের সঙ্গে যেন তার মুখোমুখি কথা চলছিল। মন যেদিন তার চোখ মেলে, সেদিন প্রত্যেক সকাল বেলাটিই তার কাছে অপূৰ্ব্ব হয়ে দেখা দেয়। বিশ্বলক্ষ্মী তার ভাণ্ডারের দ্বারের কাছে রোজই দাড়িয়ে থাকেন, যেদিন আমরা প্রস্তুত হয়ে তার কাছে গিয়ে হাত পাতি সেদিন তার দান মুঠো ভরে দিয়ে থাকেন। পৃথিবী থেকে যাবার সময় এ কথা আমি বলে যেতে পারব যে, এমন দান আমি অনেক পেয়েচি । সেপ্টেম্বরের আরম্ভে আমার বম্বাই যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। কেননা সেপ্টেম্বরের ১৫ই তারিখে কলকাতায় আমাদের শারদোৎসবের পালা বস্বে”— আমাকে সাজতে হবে সন্যাসী {য]। আমার এই সন্যাসী সাজবার আর কোনো অর্থ নেই অর্থসংগ্রহ ছাড়া। শুনে তোমরা বিস্মিত হোয়ো না, তোমাদের বারাণসীধামে এমন অনেক লোক আছেন যারা সন্যাসী সেজেচেন অর্থের প্রত্যাশায়, আর যাদের প্রত্যাশা নিরর্থক হয় নি। এলমহাস্ট সাহেব এসেচেন, তার কাছে শুনলুম তুমিও নাকি আসক্তি bbr>