পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যাহুগুলোর যে] কথা মনে পড়চে। তখন গান লেখবার মত শক্তি থাকলে বড় বয়সের মতই লিখতুম “হেলাফেলা সারা বেলা এ কি খেলা আপন মনে।” বাঁশির ফাক গানের সুরে বেজে ওঠে, আমার জীবনের ফাকগুলো কত গান দিয়েই যে বসে বসে ভরিয়েচি তার কি ঠিক আছে! কত গান কত সুর দিয়ে। এক এক সময়ে মনে হয় সুর সব ফুরিয়ে গেল বুঝি। তার পরে আবার হঠাৎ দেখি উৎস এখনো শূন্য হয়ে যায় নি। আবার কোথা থেকে সুর এসে জমা হয়, আবার দিনুর ভাণ্ডারে জমা করবার জন্যে দৌড়োদৌড়ি করতে হয়। তোমাকে অভিনয়ে পাঠাবার জন্যে তোমার বাবজাকে লিখেচি। তুমি না এলে মুস্কিলে পড়তে হবে। মঞ্জকে তৈরি করবার জন্যে গগনকে° বলেছিলুম কিন্তু সে হয়ে উঠল না। তুমি ত জান, তোমাকে ছাড়া গগনের আর কাউকে পছন্দ হয় না। সুবীরের বাবা আজ কাশীতে যাচ্চেন। তার সঙ্গে যদি তোমাকে পাঠানো সম্ভব হয় তাহলে কোনো হাঙ্গাম থাকে না। নইলে আবার হগুখিানেক পরেই তোমাকে আনবার জন্যে আর কাউকে পাঠাবার বন্দোবস্ত করতে হবে। কেননা আবার কিছুদিন রিহার্সাল দিতে হবে। তোমার জন্যে হয়ত ভাবনা নেই, তোমার নিশ্চয় সব মনে আছে। কিন্তু তোমার ভানুদাদা যে কি রকম মেধাবী সে তোমার অগোচর নেই। আবার পাঁচ ছয় দিন ভালো করে রিহার্সাল না দিলে হয় ত বেশ বড় রকমের গলদ করে বসব। আমার শরীর যে খুব ভালো আছে তা নয়। এখনো কিছুতে দুৰ্ব্বলতা যাচ্চে না— সেই জন্যে মনের মধ্যে কেমন একটা অবসাদ লেগে আছে। আশাদিদির আর শাস্তির শরীর ভাল নেই শুনে উদ্বিগ্ন হলুম। ইতি ২৩ শ্রাবণ ১৩৩০ ভানুদাদা 8 X : "ל כי