পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে, ইন্দোর হয়ে স্বস্থানে ফিরে আসব এই রকম সঙ্কল্প। কিন্তু এখনো খুব পাকা রকম ঠিক হয় নি। জনশ্রুতি এই যে কাঠিয়াবাড়ের স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েচে– এ অবস্থায় সেখানে ভিক্ষুসমাগম কোনো পক্ষেই প্রার্থনীয় না হতে পারে। সেখান থেকে যারা আমাকে আহবান করেছিলেন তাদের পত্রের প্রতীক্ষা করচি, যদি ভরসা দেন ত যাব। “ঐ ত সম্মুখে পথ চলেছে সরল, চলে যাব ভিক্ষাপাত্র হাতে।” কিন্তু আমার ভাগ্যে পথ সরল নয়, শূন্য ভিক্ষাপাত্রের বোঝা অত্যন্ত দুর্ভর, আর "ভিখারিণী সখী মোর”— সে দুঃখের কথা আর বলে কাজ নেই। পথে পথে দ্বারে দ্বারে আর ঘুরে বেড়াতে পারি নে— যেমন দুঃখ, তেমনি ক্লান্তি, তেমনি প্লানি। আমি যত বলি, “কাজ কি ঠাকুর, আমি যাহা আছি সেই ভাল,” আমার গ্রহ বলে “মুক্তি নাই, মুক্তি নাই কিছুতেই, চাদা তোরে আনিতেই হবে!” ইতি ১৩ আশ্বিন ১৩৩০ ভানুদাদা > ૨૨ [১০ অক্টোবর ১৯২৩] [কলকাতা) কল্যাণীয়াসু রাণু আজ সন্ধেবেলায় ঘন মেঘ করে খুব এক চোট বৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টি নেই কিন্তু আকাশে মেঘ কালো হয়ে জমে আছে। প্রশান্ত আর রাণী কোথায় চলে গেছে— বাড়িতে কেউ কোথাও নেই— আমি টেবিলের উপর ইলেকট্রিক আলো জালিয়ে দিয়ে তোমাকে চিঠি লিখতে বসেচি। সমভ দিন নানা কাজে নানা লোকের সঙ্গে দেখাসাক্ষাতে, নানা ९> ॐ