পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

めこむ ২৭ কার্তিক ১৩৩০ [রাজকোট]” রাণু তোমাকে একটা সুখবর দেবার জন্যে এই চিঠি লিখতে বসেচি। এলমহসট এসে পোঁচেচে। সে বম্বাই থেকেই কোনো এক জায়গায় দৌড় দেবার চেষ্টায় ছিল আমি তাকে ডাকিয়ে এনেচি। সে এখন আমার সঙ্গে ঘুরচে। কাল তাকে কথায় কথায় বলছিলুম রাণু বিসর্জনে খুব ভাল অভিনয় করেছিল। পৃথিবীসুদ্ধ লোক তাই নিয়ে আলোচনা করচে। শুনে এলমহসর্চ দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বল্লে, ভাগি আমি ছিলুম না। থাকলে তার ভাগ্য নিয়ে কি মুদ্ধিল হত আমি ত কিছু বুঝতে পারলুম না। উমা যখন তপস্যা করেছিলেন তখন তিনি অপর্ণ হয়েছিলেন, তখন শিবের তিন নেত্রই তার উপর পড়েছিল— কিন্তু তুমি যখন অভিনয় সাধনা করে অপর্ণ হন্ত্রে তখন হাজার নেত্র তোমার উপর পড়ল, শিব অশিব কেউ বাদ যাচ্চেনা। তোমার সাধকদের মধ্যে ইদানীং কার কি দশা ঘটেচে তার হাল খবর কিছুকাল পাইনি, আরো কিছুকাল পাব না। কিন্তু আন্দাজ করতে পরিচি। পুরাণে লিখচে গৌরী ভানুর দিকে তাকিয়ে তপস্যার উগ্রতা বাড়িয়ে তুলে অবশেষে সকলপ্রকার ভোগসামগ্রীর সঙ্গে গাছের পত্র পর্য্যন্ত যখন ত্যাগ করলেন তখন তিনি বরলাভ করতে পেরেছিলেন– তোমার তপস্যায় আমি ত দেখচি পত্রসংখ্যা বাড়চে বই কমচেনা— তাতে তোমার বরলাভের কোনো বাধা ঘটবেনা, এও স্পষ্টই বুঝতে পারা যাচ্চে। অপর্ণার এই তপঃকাহিনী লেখবার জন্যে পুরাকালে এক কবি জন্মগ্রহণ করেছিলেন— বৰ্ত্তমান কালেও এক কবিকে দেখতে পাওয়া যাচ্চে, কিন্তু এখনো তিনি অবাক হয়ে আছেন; হয়ত কোনদিন ছন্দে বন্ধে তারও বাকৃষ্ণুর্তি হতে ૨૨૯: