পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহলে অত্যন্ত বিখ্যাত হয়ে উঠচেন, সেই অহঙ্কারে এই ভানুদাদার আর মাটিতে পা পড়ে না। দুজনের প্রকৃতি আলাদা। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স সম্বন্ধে ঐতিহাসিকেরা সম্পূর্ণ নিঃসংশয়; আর ভানুদাদার বয়স সম্বন্ধে তর্ক আছে— অতএব লজিকশাস্ত্র যারা সম্প্রতি অধ্যয়ন করতে সুরু করেচেন তারা কখনই দুজনকে এক ব্যক্তি বলে সন্দেহ করতে পারেন না। আমি পরম্পরায় শুনেচি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনস্মৃতি বলে একখানি বই লিখেচেন, তার থেকে প্রমাণ হয় তার জীবনও আছে স্মৃতিরও অভাব নেই ; আর ভানুদাদাকে দুই একজন যারা জানেন তারা জানেন উক্ত ভদ্রলোকের জীবন বলে পদার্থ ক্ষীণ পরিমাণে যদি বা থাকে স্মৃতি বলে কোনো বালাই নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সব গান রচনা করেন ভানুদাদা যদি সেগুলি তার বিশেষ পরিচিত কোনো কোনো লোকের কাছে গাইতে চেষ্টা করেন তাহলে তার সুরও ভোলেন কথাও ভোলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নাটক লেখেন ভানুদাদা তা অভিনয় করবার বেলায় সমস্ত গোলমাল করে’ নিজের কথা বসিয়ে দিয়ে কোনো গতিকে কাজ সেরে দেন। কোনো কোনো রসিক লোকে সন্দেহ করে যে, ভানুদাদা গান ভুল করেন, নাটকের কথা উলটপালট করে দেন সেটা চিত্তবিক্ষেপের লক্ষণ— সেই চিত্তবিক্ষেপের কারণটি সঙ্গীতসভায় ও নাট্যমঞ্চে সশরীরে উপস্থিত থাকাতেই এইরকম দুৰ্গতি ঘটে। যা হোক জনশ্রুতি সবই যে বিশ্বাস করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। Elmhirst যখন কাশী দিগ্বিজয় করে আশ্রমে ফিরে এলেন তখন ভানুদাদা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সখে, রাণু নামধারিণী কাশীবাসিনী বালিকাকে কেমন দেখলে আমার কাছে প্রকাশ *G & I">isco on, “o she looked very happy.” SFWIWi. স্তব্ধ হয়ে বসে ভাবতে লাগল, হঠাৎ এত happiness-FI FRS RE ૨8 ૨