পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশবাণীর ধারা বইত না। বঁশির সমস্ত ফাকটা যদি সোনা দিয়ে বোজানো হয় তাহলে কি বাঁশি বাজে ? তোমাকে যে এই কথাটা আজ লিখচি তার মানে হচ্চে এই যে, আমি বলতে চাই এতে তুমি আনন্দিত হও। তুমি বিধাতার উপরে ঈর্ষা কোরো না। বোলো না, তোমার ভানুদাদাকে যদি নিজের কাজে দেশে বিদেশে ঘুরিয়ে না বেড়াতেন তাহলে তুমি তাকে আরো অনেকটা সময় কাছে পেতে। কিন্তু সেই ফাকা ভানুদাদাকে কাছে পেয়েই বা লাভ কি। বিধাতার বরখাস্ত করা সেই ভানুদাদা ত নিতান্তই বাজে লোক। সে তোমাদের কারো পরিচয়েরই যোগ্য হত না। সেই দীপ্তিহীন বাজে লোকটাকে আমি জানি। সে হচ্চে সকালবেলাকার আলো-নেবানো বাতি— নিতান্ত নিরর্থক। যাকে চীন ডেকেচে, আমার মধ্যে তাকে দেখে তুমি খুসি হও, রাণু। চীন আমাকে না ডাকলে বেশ হত এমন কথা তুমি মনে মনেও বোলো না। আমাকে খৰ্ব্ব করে’ তাতে ত তোমার লাভ নেই— বরঞ্চ তাতে তোমার ভানুদাদার অনেকখানিই বাদ গেল বলে তোমার সেটা লোকসান। আমাকে পৃথিবীতে কেবল একমাত্র যদি তুমিই পেতে তা হলে ত তুমি ঠক্‌তে— কেন না পৃথিবীর সেই একঘরে হতভাগার মূল্যই বা কি। তোমার কাছে থাকার দ্বারাই তুমি যে আমাকে বেশি পাবে সে তোমার ভুল। আমাকে জগতের লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পাও যদি তাহলেই তুমি সব চেয়ে বেশি পাবে। আমি নিজে যখন কুঁড়েমি করে’ গা লাগে না— ইচ্ছে করে এই রকম প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকি । তার প্রধান কারণ, সেই ছোট আমিটা যে কত বড় অভাজন তা’ আমি জানি— মনে কিছুতেই বিশ্বাস হয় না জগতের বড় ক্ষেত্রে সে কিছুই করতে পারবে— ভয় হয় যে, এবার তার ফাকি ধরা পড়বে। তাই ইচ্ছে করে চুপ করে নিজের কাছে নিজে পড়ে থাকতে। কিন্তু হঠাৎ পেয়াদা এসে জোর করে さやべ