পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(?の [২০ মে ১৯২৪] পিকিঙ] রাণু আজ প্রায় তিন সপ্তাহের উপর হল পীকিনে এসেচি। এসে অবধি লোকের, আর কাজের ভিড়ের অন্ত নেই। এই কয়দিনের মধ্যে অন্তত চল্লিশটা বক্তৃতা করেচি। কোনো কোনোবার দিনে তিনটে বক্তৃতাও হয়েচে। তার উপরে সমস্ত দিনই দেখাসাক্ষাৎ নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণ লেগেই আছে। কোথাও নিরালায় বসে মন স্থির করে চিঠিপত্র লিখব তার অবসর পাই নি। আমি স্বভাবত কুঁড়ে মানুষ, এত বেশি কাজের চাপ, এত জনতার দাবী আমি সইতে পারি নি। তিমি মাছ বেচারাকে জলের মধ্যে ডুবে থাকতে হয় কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে ভেসে ভেসে তাকে হু হু শব্দে হাপ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। আমিও যখন ভিড় সমুদ্রে একেবারে মগ্ন হয়ে থাকি তখন মাঝে মাঝে নির্জন অবকাশের মধ্যে ভেসে উঠে খুব পেট ভরে হাওয়া খেয়ে নিতে ইচ্ছে করে। এবার কিন্তু একটুও ফাক পাই নি। তার থেকে একটা কথা বুঝতে পারবে এখানকার লোকের কাছ থেকে যোলো আনা সমাদর পেয়েছি। তুমি ত জানো বহু শতাব্দী আগে ভারতবর্ষ থেকে বৌদ্ধ সন্যাসীরা {য] গিয়ে চীনে ধৰ্ম্ম বিতরণ করেছিল— তখন সেই হৃদয়বিনিময়সূত্রে চীনের ইতিহাসের সঙ্গে ভারতের ইতিহাস ঘনিষ্ঠ যুক্ত হয়ে গিয়ে ছিল। এরা বলচে এবার আমার আগমন উপলক্ষে আবার চীনভারতের যোগের নূতন ঐতিহাসিক অধ্যায় সুরু হল। শুনে সকল ক্লাস্তি দূর হয়। যুদ্ধ বিগ্রহে রক্তপাতের রাঙা অক্ষরে মানুষের ইতিহাসের কত পরিচ্ছেদ লেখা হয়ে থাকে— কিন্তু হৃদয়যোগের নিৰ্ম্মল বাণী ইতিহাসের যে পর্ক্সে লিখিত হয় সেইটে হচ্চে মহাপবর্ণ। আর কিছুদিন ఇbre