পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়ে যা লাভ করবে তাই তোমার পক্ষে খুব বড় জিনিষ হবে। তোমার মত্ত সৌভাগ্য এই যে, তোমাকে তিনি যা দিচ্চেন তা শত্তায় দিচ্চেন না। মূল্যবান জিনিষ শস্তায় পেলে তার ঋণ থেকেই যায়। তাতে ঠিক পাওয়া হয় না। তোমার মধ্যে যা অসত্য ছিল তাই আজ এমন করে অপমানিত হল— এই ত ভালো হল। আজ অগ্নিস্নানে পবিত্র হয়ে তুমি বিশুদ্ধ নিৰ্ম্মলস্বরূপে তোমার সংসারে আত্মোৎসগের বেদী রচনা কর’। সংসারের সকল কাজের মধ্য দিয়ে আপনাকে তোমার ভগবানের কাছে প্রতিদিন পূজার নৈবেদ্যের মতো সমপণ করতে হবে— সত্য হতে না পারলে সে নৈবেদ্য তো দেবতা গ্রহণ করতে পারবেন না। তাই তিনি নিজের জিনিষকে নিজের হাতে শোধন করে নিচ্চেন— তার হাতে দুঃখের এই অভিষেক তুমি মাথা পেতে স্বীকার করে নাও, তাতে তোমার মঙ্গল হবে। ইতিমধ্যে বীরেন’ এসেছিল। যতবার তার সঙ্গে আমার আলাপ হচ্চে ততবারই আমি খুসি হচ্চি। তার ক্ষমা তার প্রেম তোমার পক্ষে অমূল্য সম্পদ। নিজের মধ্যে একদিকে যেমন তুমি দৈন্যের প্লানি ভোগ করেচ বাইরে থেকে আর একদিকে তেমনি দুর্লভ ঐশ্বৰ্য্য লাভ করতে পেরেচ– এমন সার্থকতা তো সকলের ভাগ্যে ঘটে না। কেবল দুঃখই তো পেতে পারতে, কিন্তু তার চেয়ে আরো আক্ষেপের বিষয় হত, যদি যা পাচ্চ তার মূল্য বোঝবার সুযোগ না পেতে। যদি আত্মাভিমান নিয়ে বিধাতার দানকে খৰ্ব্ব করতে । বীরেনরা আরো দুটো চিঠি পেয়েছে। তাতে অপরপক্ষ ওদের অনেক শাসিয়ে লিখেছে। কিন্তু তাতে কেবল তারা নিজেদেরই উত্তরোত্তর বেশি করে ঘৃণ্য করে তুলচে। তোমার উপরে ওদের করুণা এবং স্নেহ আরো বেড়েই চলেচে। এই কথা মনে রেখে তুমি মনে সান্ধনা পেতে পারবে। আমি আগামী বুধবারে শান্তিনিকেতনে যাব। সেখানে নববর্ষের উৎসব হবৃে— তার পরে ২৫শে বৈশাখে আমার জন্মোৎসব। আমার নূতন বা “С)OO