እ» ፄo ১৬ এপ্রিল ১৯২৭
- SANTI-NIKETAN BENGAL, INDIA
কল্যাণীয়াসু রাণু তোর চিঠি ভারতের নানা প্রদেশ ঘুরে আজ ফিরে এল। আমিও কিছুদিন পূৰ্ব্বেই ফিরেছি।’ তোর বাবা মার সঙ্গে পথেই দেখা হয়েছিল। আমি গার্ডন পার্টির কার্ড পেয়েছিলুম কিন্তু নিতান্তই ঢিলে মানুষ বলে উত্তর দিতে ভুলেচি। পার্টি প্রভৃতিতে প্রায়ই যাই নে, তাই এইরকম দুৰ্গতি ঘটে। কবি বদনাম থাকাতে লোকে অপরাধ ক্ষমা করে— ক্ষমা করে বলেই অপরাধ বেড়ে চলতে থাকে । এবার গরমের সময় কোথায় থাকব এখনো সম্পূর্ণ ঠিক হয় নি— কিন্তু এটা স্থির যে শান্তিনিকেতনে থাকব না। এক একবার কথা উঠচে যে, শিলঙ পাহাড়ে যাব। সেখানে একজন আমাকে নিমন্ত্রণ করেচেন। কিন্তু কারো বাড়িতে থাকতে গেলে প্রাণ হাপিয়ে ওঠে তাই দ্বিধা করচি। দিনু কমল কাল শিলঙের অভিমুখে চলে গেল। আমার শরীর বড়ই ক্লাস্ত আছে বলে কোনো ভালো জায়গায় যাওয়া কৰ্ত্তব্য বোধ করি— কিন্তু ক্লান্ত আছে বলেই নড়তে উৎসাহ বোধ করচি নে। আগামী ২৫শে বৈশাখে আমি ৬৭ বৎসরে পড়ব— সুতরাং বুঝতেই পারচিস ওপারের খুব কাছ ঘেঁষেই এসেচি– বায়ু পরিবর্তনের পক্ষে আয়ু পরিবর্তনের মত কিছুই নেই– সব ক্লান্তি সব বালাই এক নিশ্বাসেই চুকে যায়। রর্থী বৌমা কাল সন্ধ্যার গাড়িতে কলকাতায় যাচ্চে। জোড়াসাঁকের বাড়িতে টেলিফোন করলে পরস্পর সংবাদ বিনিময় করতে পারবি। কলকাতায় যখন যাব আমার যে বই তুই পড়তে চাস দেব। ইতি ৩ বৈশাখ ১৩৩৪ {স্বাক্ষরহীন] xථAA