পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই। বৌমারা গেছেন রাচিতে— বোধ হয় মোটর রথে— জানিনে এতদিনে পৌচেছেন কি না। আমার পরামর্শ যদি শুনিস সেখান থেকে সোজা চলে আয় শাস্তিনিকেতনে। এখানে শরৎকাল খুব সুন্দর। চারদিকের মাঠ সবুজ হয়ে উঠেছে শিউলি গাছে ফুল ফোটানো অক্লান্ত। তোদের বাড়ির সবাই ছুটিতে এখানে আসবেন এমন একটা জনরব উঠেছিল। কিন্তু সেদিন আশার একখানা চিঠি পেলুম তাতে আছে তোর বাবা কলকাতার হাসপাতালে— বাকি সবাই কানপুরে শাস্তির ওখানে। আশা লিখেচে ছুটির পরে সে এখানে আসবার সঙ্কল্প করেচে। আজ কোজাগর পূর্ণিমা। কিন্তু কাল থেকে বাদলার আবির্ভাব। আকাশ ভরে খুব মেঘ জমে আছে। আজ রাত্রে চাদের মুখ দেখা যাবে বলে আশা হচ্চে না। পৃথিবীতে তার অভাব যদি পূরণ করতে পারতুম তাহলে বিশেষ আক্ষেপের কারণ থাকতনা | ইতি ৩১ আশ্বিন ১৩৩৬ তোর ভানুদাদা >br> ২৫ কার্তিক ১৩৩৬ હૈં শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু রাণু কাজের তাগিদে হঠাৎ এখানে চলে আসতে হল। বীরেনকে লিখেছিলুম তোকে একদিন জোড়াসাঁকোয় নিয়ে আসতে। বীরেন রাজি হয়ে চিঠি লিখেছিল কিন্তু অদৃষ্টক্রমে ধরণীতে চাদ দেখা আমার ঘটল না। ○ミ8