পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেীমা এখন আছেন জোড়াসাঁকোয়— এখন তার হঁপানির জন্যে ইলেকট্রিক চিকিৎসা চলচে, খবর পেলুম তাতে তার উপকার হয়েচে। শরৎকাল শেষ হয়ে এল— ফুলঝরানো কাজে শিউলি গাছ ক্লান্ত হয়ে এসেচে— এখন ছাতিমের ডালগুলো খুব উৎসাহিত— ছাতিম ফুলের তীব্র গন্ধে সন্ধ্যাবেলাকার বাতাস মাতাল হয়ে ওঠে। এখানকার তেতলা ঘরের ছাদে আমি একলা একটা কেদারায় বসে মাঠের দিকে তাকিয়ে বসে আছি— আকাশে শাদা শাদা মেঘ যাচ্চে ভেসে, আর কোথা থেকে সমস্ত দুপুর বেলা ঘুঘু ডাকচে । একবার তোরা যুগলরাপে শান্তিনিকেতনে দেখা দিবি নে কি? অনেক বদল হয়েচে । ইতি ১১ নবেম্বর ১৯২৯ ভানুদাদা >bアミ ১০ ফাল্গুন ১৩৩৬ { শান্তিনিকেতন] কল্যাণীয়াসু শিউলির পালা গেছে। উত্তরে হাওয়া দক্ষিণের দিকে মুখ ফেরালো। আমের বোল দেখা দিয়েচে, শালের বনে নবমঞ্জরীর সমারোহ, কাঞ্চনশাখা কুসুমাবনম্রা, কিন্তু রবি ঠাকুর পাড়ি দিতে চলল পশ্চিম সাগরের কূলে।’ কুশলে থাক এই আশীৰ্ব্বাদ রেখে গেলুম। ইতি ২২ ফেব্রু (রি ১৯৩০ ভানুদাদা ৩২৫