পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবার দরকার হবে না। ওকে দেখে খুসি হলুম। কিন্তু ওকে আশার সঙ্গে কাশীতে ফিরিয়ে দেব না। আমরা দেরাদুনে যাচ্চি সেখানে ওকে নিয়ে যাব।’ বলা বাহুল্য ওর নিজের তাতে অসম্মতি নেই, আমার প্রতি ওর “জননাস্তর সৌহৃদানি"র দাবী আছে। তোমরা ত আশাকে প্রত্যাহরণ করে নিচ্চ, আবার কাশি স্টেশনে পোঁছলে রাণুকেও যেন বিচ্ছিন্ন করে নিয়ো না। আশার আশা আমরা সম্পূর্ণ ছাড়ি নি। ও বলেচে মাঝে এক বৎসর এম এ পাস করবার জন্যে ও মেয়াদ নেবে তার পরে ওকে আমরা পেতে পারব। ও চলে গেলে আশা দিদির অভাবে এখানে ভারি একটা ফাক পড়বে। বিশ্বনাথের মুখে ফোড়া হওয়াতে আমরা উদ্বিগ্ন হয়েছিলুম। কলকাতায় পাঠিয়ে অপারেশন করিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছি। কাল বোধহয় ফিরে আসবে। দেরাদুন যাবার আগে তোমাদের সময়মত সংবাদ দেব। এখানে তাপ প্রতিদিন বেড়ে উঠচে। আমার শরীর এবার বড়ই ক্লাস্ত। মনে হচ্চে আমার এপারের তীরে এইবার ভাঙন লেগেচে, প্রতিদিন ছোটখাটো ফাটল ধরবার পূৰ্ব্বেই খেয়ায় পাড়ি দিতে পারলে ভাল হয়— জীর্ণ হয়ে ধসে পড়তে আমার খুব আপত্তি। ইতি ৮ বৈশাখ ১৩৩০ তোমাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর br [মার্চ ১৯২৪] শীঘ্রই রাণুর বিবাহ দিয়ে সমস্যা সমাধানের যে চিন্ত করচ আমার কাছে সেটা ভালো বলে ত ঠেকচে না, তাতে সামাজিক সমস্যার - W"Ψς ν Vs Vл-віїАкдті,