পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীমাংসা হতেও পারে, কিন্তু রাণুর নিজের পক্ষে সেটা সুখকর কিম্বা কল্যাণকর হবে কিনা সেটাই বিশেষ করে ভাববার কথা। দুঃখ পাবার শক্তি ওর এত তীব্র যে ও যদি অস্থানে গিয়ে পড়ে তাহলে ভিতরে ভিতরে ও নিজেকে দগ্ধ করে মারবে। যতক্ষণ খুব নিশ্চিত করে না বুঝবে ততক্ষণ উপস্থিত সঙ্কট কোনমতে এড়াবার জন্য একটা ঠেকা দেবার চেষ্টা কোরো না। আমার বিশ্বাস, রাণুর মা রাণুর নিজের পক্ষের কথাটা তোমার চেয়ে ঠিক বুঝতে পারবেন। তিনি এ সম্বন্ধে কি ভাবছেন আমি জানতে ইচ্ছা করি। সুসঙ্গের সুহৃদ” রাণুর কথা আমার সঙ্গে আলোচনা করবার জন্যে উৎসুক হয়ে আছে। আমি তাকে উৎসাহ দিই নি। কেননা কি হলে রাণুর পক্ষে ঠিকটি হয় বা নিশ্চিত না জেনে কতকগুলো কথা জমিয়ে তুলতে আমার আর সাহস হয় না। আমার ত মনে হয় আরো কিছুদিন পড়াশোনার ভিতর দিয়ে নিয়ে গিয়ে বৰ্ত্তমান এই সমস্ত জঞ্জালের চিহ্ন মুছে ফেলা সৰ্ব্বপ্রথমে দরকার। তারপরে অপেক্ষাকৃত সুস্থ শাস্ত হলে ওর সম্বন্ধে সুব্যবস্থা সহজ হবে। এখন ওর মনে আলোড়ন হচ্ছে, সেটা আর কিছুদিন পরে নিশ্চয়ই অনেকটা পরিমাণ ঠাণ্ডা হয়ে আসবে। আমার যদি সময় থাকত রাণুর সঙ্গে আর রাণুর মার সঙ্গে এ সম্বন্ধে কথা কয়ে ভিতরকার অবস্থাটা ভালো করে বোঝবার এবং রাণুকে সাত্বনা দেবার চেষ্টা করতুম। [ফাল্গুন ১৩৩০] OA