পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবার কারণ ঘটত, কিন্তু সেই জন্যই সেটা শ্রেয় নয় এমন কথা বলা অন্যায় হত। যক্ষ্মারোগে পিতার মৃত্যু হলে সমাজ পুত্রকে প্রায়শ্চিত্ত করতে বাধ্য করে; যুক্তি এই যে— পূৰ্ব্বজন্মে পিতা পাপ করেছিলেন— দুর্ভাগা পিতার এই অপমান হিন্দুসমাজসম্মত কিন্তু সেটা শ্রেয়স্কর এমন কথা স্বীকার করলেও প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত। সুরেন মানুষ হিসাবে অধিকাংশ সৎকুলীনের চেয়ে নিৰ্ম্মলস্বভাব বুদ্ধিমান সহৃদয় ও প্রতিভাসম্পন্ন তথাপি নুটুকে তার ব্যক্তিগত প্রবৃত্তি ও অনুরাগ সংযত করতেই হবে অর্থাৎ বিনা কারণে নিজের ও সুরেনের ধৰ্ম্মসঙ্গত ইচ্ছাকেই অপমানিত করতে হবে এটা হিন্দুসমাজসম্মত তা মানি কিন্তু শ্রেয়স্কর তা কিছুতেই মানিনে। সামাজিক অসতীত্ব ও স্বাভাবিক অসতীত্বের মধ্যে প্রভেদ আছে— নুটু সমাজনিৰ্ব্বাচিত পাত্রকে বিবাহ করার দ্বারা মনে মনে অশুচি হলেও সমাজ সেই নিষ্ঠুর বীভৎসতাকে প্রশ্রয় দেয়— এটা একটা তথ্য মাত্র কিন্তু এটাকে শ্ৰেয় বলব কি করে ? সংস্কারের দোহাই দাও, সামাজিক অসুবিধার দোহাই দাও তার কোনো উত্তর নেই কিন্তু শ্রেয়ের দোহাই দিলে কেমন করে মেনে নেব? অত্যাচারের অস্ত্র সমাজের হাতে, বিধাতৃবিহিত মানবধৰ্ম্মকে অন্যায় নিপীড়ন করবার শক্তি আছে সমাজের, অক্ষমতাবশত সমাজের অযৌক্তিক অস্বাস্থ্যকর বিধান মেনে নিতে পারি কিন্তু সমাজ-কৰ্ত্তক অনুমোদিত মূঢ়তা ও অধৰ্ম্মকে শ্রেয় বলে মানতে পারব না। সৌভাগ্যক্রমে আমরা চিরদিন আছি সমাজের বাইরে কিন্তু তবু অত্যাচার দেখলে উদাসীন থাকতে পারিনে, পরসমাজের ব্যুহে অনধিকার প্রবেশ করে প্রতিবাদ না করে থাকতে পারিনে। যাই হোক আমার এ চিঠি অহৈতুক তর্ক মাত্ৰ— এর পিছনে কোনো | ྋིམས་གཙང་བས་ཁ་ཁ། ཁas ཨ་ཁ། ཁང་ག ཨ༔ ཐ་ཤལ Bཁ་བསྐ་ দুঃখ থেকে নিস্কৃতি পাবে। আমার সামনে আশু একটি দুর্ভোগ আছে, সে vరిఱు ՖԵ Ա Հ8