পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ [ শান্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু আমাদের পালা সাঙ্গ হল। রাণু যাচ্চে এণ্ডুস সাহেবের সঙ্গে। মাঝে ওর জ্বর হয়েছিল কিন্তু আমার বিশ্বাস আমারই ওষুধের গুণে ಬ್ಲೀ তিনদিন গিয়েছিল। ওর অভিনয়ের খুবই সুখ্যাতি হয়েছে, ওকে সাজেসজ্জায় খুব ভালই দেখাচ্ছিল। তা ছাড়া আমার বিশ্বাস এ রকম অভিনয় ওর পক্ষে একটা বড় শিক্ষা। এবার দীর্ঘকাল আমি কলকাতায় আবদ্ধ ছিলুম। কাল নিস্কৃতি পেয়েচি, এখানে এসে আরাম পাওয়া গেল।’ কিন্তু অনেকদিন রাণু আমাদের খুব কাছে কাছে ছিল, সে চলে যাচ্চে বলে আমাদের ফাকা ঠেকচে। শুধু আমার নয়, আমাদের জোড়াসাঁকো অঞ্চলে গগন প্রভৃতি সবাই ওর অভাব অনুভব করবে; ওর হাসিতে গল্পে ও সমস্ত পাড়া জমিয়ে রেখেছিল। যা হোক, এখন ওকে ওর কৰ্ত্তব্যের মধ্যে নিমগ্ন হতে হবে, আমারও কর্তব্যের পাল আবার সুরু হল। আমাকে চীন দেশে যেতে হবে, তার জন্যে লেকচার তৈরি করা চাই, দুই একদিনের মধ্যেই স্থির হয়ে বসে লিখতে প্রবৃত্ত হব। আশাদিদির শরীর মাঝে খারাপ হয়েছিল, এখন ভালো আছে ত? আশাদিদি সমস্ত আশ্রমবালক বালিকার আশাদিদি হয়ে উঠেচে, তারা এখনো তাকে ভুলতে পারে নি। তোমরা সকলে এখন আশা করি ভালো আছ। আমি একান্ত মনে তোমাদের মঙ্গল কামনা করি। এবার ক্রিষ্টমাসের ছুটির সময় যদি এ দিকে আস তা হলে তোমাদের সঙ্গে চীনযাত্রার পূৰ্ব্বে দেখা হবে। পূজোর ছুটির সময় কাঠিওয়াড়ে যাব, সেখানে দু তিন মাস কাটবে, ©ማልፃ