পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওদের দৈনিক কাৰ্য্যপদ্ধতি হচ্চে এই রকম— সকাল সাতটার সময় ওরা বিছানা থেকে ওঠে। তার পরে পনেরো মিনিট ব্যায়াম, প্রাতঃকৃত্য, প্রাতরাশ। ৮টার সময় ক্লাস বসে। একটার সময় কিছুক্ষণের জন্যে আহার ও বিশ্রাম। বেলা তিনটে পর্য্যস্ত ক্লাস চলে। শেখবার বিষয় হচ্চে, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, প্রাথমিক প্রাকৃত বিজ্ঞান, প্রাথমিক রসায়ণ, প্রাথমিক বই বাধাই, হাল আমলের চাষের যন্ত্র প্রভৃতির ব্যবহার ইত্যাদি। রবিবার নেই প্রত্যেক পঞ্চম দিনে ছুটি। তিনটের পরে বিশেষ দিনের কার্য্যতালিকা অনুসারে পায়োনিয়ররা (পুরোযায়ী দল) কারখানা, হাসপাতাল, গ্রাম প্রভৃতি দেখতে যায়। পল্লীগ্রামে ভ্রমণ করতে যাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। মাঝে যায়। সন্ধ্যাবেলায় গল্প পড়া, গল্প বলা, তর্ক সভা, সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক সভা। ছুটির দিনে পাওনিয়ররা কিছু পরিমাণে নিজেদের কাপড় কাচে, ঘর অতিরিক্ত পড়া পড়ে, বেড়াতে যায়। ভৰ্ত্তি হবার বয়স ৭ । ৮. বিদ্যালয় ত্যাগ করবার বয়স ষোলো। এদের অধ্যয়নকাল আমাদের দেশের মতো লম্বা লম্বা ছুটি দিয়ে যাক করে দেওয়া নয়, সুতরাং অল্প দিনে অনেক বেশি পড়তে পারে। এখানকার বিদ্যালয়ের মত্ত একটা গুণ, এরা যা পড়ে তার সঙ্গে সঙ্গে ছবি আঁকে। তাতে পড়ার বিষয় মনে চিত্রিত হয়ে ওঠে, ছবির হাত পেকে যায়— আর পড়ার সঙ্গে রূপ সৃষ্টি করার আনন্দ মিলিত হয়। হঠাৎ মনে হতে পারে এরা বুঝি কেবলি কাজের দিকে ক্টোক দিয়েচে, গোয়ারের মতো ললিতকলাকে অবজ্ঞা করে। একেবারেই তা নয়। সম্রাটের আমলে তৈরি বড়ো বড়ো রঙ্গশালায় উচ্চ অঙ্গের নাটক ও অপেরার অভিনয়ে বিলম্বে টিকিট পাওয়াই শক্ত হয়। নাট্যাভিনয় কলায় এদের মতো ওস্তাদ \934