পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ ፄ [এপ্রিল ১৯১৯] প্রিয় ভানুদাদা, আজ থেকে আমাদের গরমের ছুটী সুরু হয়েছে। সাতই জুলাইএ ইস্কুল খুললে। কিন্তু মামা এক বচ্ছরের ছুটী নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ওর শরীর বড় খারাপ হয়েছে। সে এক বছর আমাদের ইস্কুলে একজন বাঙালী প্রিনসিপল আসবেন। মামা গরমের ছুটীতে করসিয়ংয়ে থাকবেন। ওঁর ঠিকানা আমি চেয়ে নিয়েছি। আমাদের ইস্কুলে প্রাইজ হোয়ে গেছে। সেইজন্যে আপনাকে চিঠি লিখিনি। অনেক রেশিটেশন মুখুক্ত কোরতে হোতো। ইংরজি মামা বেশ কম ২ কোরে দ্যান। কিন্তু সংস্কৃততে গুরুমা বাব্বা। এত মুখুভ কোরতে দিয়েছিলেন। আমরা আগে থেকেই গুরুমাকে বলে রেখেছিলাম যে এবারে আমরা সংস্কৃততে কিছু কোরবনা কিন্তু গুরুমা বললেন যে মামা বলেছেন যে তোমাদের সংস্কৃততে কিছু কোরতেই হবে। তখন বলুন আর কি করি। তখন গুরুমা আটট মেয়েকে আটটা লম্বা ২ পার্ট দিলেন। আমাকে কোরলেন রাম। আমার আবার ৩। ৪ পাতা লম্বা লেকচার। আর সাতজনের মধ্যে কেউ কৌশল্যা, কেউ কৈকেয়ী কেউ সীতা, কেউ লক্ষ্মণ। সকলকারই ২। ৩ পাতা বক্তৃতা। বাড়ী এসে খেয়েই তা মুখুন্ড কোরতে বসলাম। দু তিনদিন পরেই প্রাইজ। তাড়াতাড়ি আবার মুখুন্ড কোরতে হবে। যেমন কোরে হোক তাড়াতাড়ি মুখুভ কোরলাম। আশা বল্লে যে মামা কখখনো অতটা বলতে দেবেন না। আর এত খারাপ শোনাত। সাত আট জন মেয়ে, প্রত্যেকে দুতিন পাতা সংস্কৃততে লেকচার দিয়ে যাচ্ছে। প্রাইজের আগের দিন মামা শুনলেন। শুনেই সেটা আর বলতে দিলেন না। কি মজা হোলো। আমি পূজারিণী" কবিতাটা প্রাইজে বলেছিলাম। এবারে প্রবাসীতে একটা রেণু’ বোলে কবিতা বেরিয়েছে। 83)