পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্জন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার অনুরাগী এই মানুষটি পুত্র বিশ্বনাথকে ব্রহ্মচর্যাশ্রমে ভর্তি করে দেন। কিছুকাল তিনি শান্তিনিকেতনে এসে বাসও করেছিলেন। তার চরিত্রমাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ তাকে ও বালক বিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্ব ত্যাগ করে তার পক্ষে শান্তিনিকেতনে এসে থাকা সম্ভব হয় নি। তার মৃত্যুসংবাদে ব্যথিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ সরযূবালাকে ১৭ অগ্রহায়ণ ১৩২৬ তারিখে যে চিঠিটি লেখেন, সেটি ‘শোকাতুরার প্রতি’ নামে পৌষ-সংখ্যা শান্তিনিকেতন’ পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। সরযূবালার জীবনে তার এই অগ্রজের প্রভাব অপরিসীম। রবীন্দ্রসাহিত্যপ্রীতির দীক্ষা তিনি তার কাছ থেকেই লাভ করেছিলেন। লাহোরে আবৃত্তি করতেন। শৈশবেই সরযূবালা রবীন্দ্রনাথের যে-কোনো কবিতা অনর্গল মুখস্থ বলতে পারতেন। তা ছাড়া তিনি ছিলেন সুগায়িকা, রবীন্দ্রসংগীতেও তার দক্ষতা ছিল। অ্যানি বেসান্টের থিয়োসফিক্যাল স্কুলে তিনি অবৈতনিক সংগীতশিক্ষিকার কাজ করতেন। ফণিভূষণও রবীন্দ্রানুরাগী ছিলেন। এই অনুরাগেরই বশবর্তী হয়ে তিনি ১৯১০ সালে গ্রীষ্মাবকাশের সময়ে কলকাতা থেকে কর্মস্থলে ফেরার পথে কয়েক ঘণ্টার জন্য শান্তিনিকেতনে আসেন ও তার অভিজ্ঞতার ইতিবাচক বিবরণ "বোলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয়’ নামে আগ্রহ য়ণ ১৩১৭-সংখ্যা প্রবাসী’-তে প্রকাশ করেন। তাদের বাড়িতে রবীন্দ্রচর্চার সে সালহাওয়া বিদ্যমান ছিল, তার প্রভাব তাদের সন্তানদের উপরেও পড়েছে স্বাভাবিকভাবে। ফণিভূষণ ও সরযূবালার পাঁচটি সন্তান। জ্যেষ্ঠা আশার জন্ম লাহোরে ১৯০৩ সালে (মৃত্যু: ৩০ জুন ১৯৭০), দ্বিতীয়া কন্যা শাস্তির জন্ম ১৯০৪-এ দিল্লিতে, তৃতীয়া কন্যা প্রীতি বা রাণুর জন্ম ১৯০৬ সালে কাশীর 4