পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘মিশ্ৰী পুকুরা’ নামক স্থানে (মৃত্যু: ১৫ মার্চ ২০০০), চতুর্থ কন্যা ভক্তি ১৯০৮-এ ও একমাত্র পুত্র অশোক ১৯১০ সালে কাশীতেই জন্মগ্রহণ করেন। উপরে অধিকারী-পরিবারের যে বিবরণ দেওয়া হল, সেটি প্রায় সম্পূর্ণতই শ্ৰীসমর ভৌমিকের রাণু মুখোপাধ্যায়ের জীবনালেখ্য’ (১৪০৪) গ্রন্থে প্রদত্ত তথ্য অবলম্বন করে। তিনি লিখেছেন, ফণিভূষণের তৃতীয়া কন্যা প্রীতি বা রাণুর জন্ম ১৯০৬ খৃস্টাব্দে কাশীর মিশ্ৰী পুকুরা’ নামক স্থানে। রবীন্দ্রনাথ ও তার নিজের পত্রের সাক্ষ্যে আমরা জানতে পারি, রাণুর জন্ম হয়েছিল কার্তিকী অমাবস্যা তিথিতে অর্থাৎ কালীপুজোর দিনে। ওই বছর কার্তিকী অমাবস্যার তিথি ছিল ১কার্তিক ১৩১৩ বৃহস্পতিবার ১৮ অক্টোবর ১৯০৬ তারিখে। সুতরাং এই তারিখটিকে রাণু বা প্রীতি অধিকারীর (পরবর্তীকালের লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়) জন্মতারিখ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। আগেই বলা হয়েছে, রাণুর পরিবারে রবীন্দ্রসাহিত্য ও সংগীতের চর্চা ছিল অত্যন্ত সজীব। ফলে অল্প বয়স থেকেই রাণু রবীন্দ্রনাথের যে বই হাতে পেয়েছেন আদ্যোপান্ত পড়ে ফেলেছেন বুঝে বা না-বুঝে। তা ছাড়া তাদের বাড়িতে ‘প্রবাসী’, ‘ভারতী’ ও সবুজ পত্র' পত্রিকা আসত, তাই নতুন লেখা পড়ারও সুযোগ ছিল তার। তার মা পত্রিকা থেকে রবীন্দ্রনাথের ছবি কেটে বাঁধিয়ে ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রেখেছিলেন, তাই তার চেহারার আদলও রাণুর অজানা ছিল না। এই-সবেরই পরিণতি শ্রাবণ ১৩২৪-এ রবীন্দ্রনাথকে লেখা রাণুর প্রথম চিঠি। চিঠিটিতে তার ঠিকানা ছিল, কিন্তু নিজের পোশাকি নাম ও পদবীর উল্লেখ ছিল না— প্রযত্নে বাবার নাম লেখার তো প্রশ্নই নেই। এইরূপ চিঠির উত্তর না-পাওয়াই স্বাভাবিক, তবু-যে জবাব দেবার জন্য রবীন্দ্রনাথ যত্নসহকারে চিঠিটি রক্ষা করেছিলেন তার কারণ এর বিষয়বস্তু ও লেখিকার রচনার পদ্ধতি। রুল-টানা কাগজে মাত্রা দিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা দেখেই পত্ৰলেখিকার বয়স অনুমান ¢&ግ