পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবর্ণনীয় দুর্দশা ভোগ করছিল, তার অবসান ঘটানোর জন্য আভুজ ও পিয়র্সন সেখানে গিয়েছিলেন ১৯১৫ সালে। এর পরেও আভুজ আবার ফিজিতে যান ১৯১৭ সালে। এই যাত্রায় তিনি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সেখানকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা-সফরের ব্যবস্থা করে আসেন। ভারতীয় তথা এশীয়দের সম্বন্ধে অস্ট্রেলিয়া গবর্মেন্ট যে অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছিল, তার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ এক সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ও ঠিক করেন এই যাত্রাতেই তিনি পুনরায় জাপান ও আমেরিকা ভ্রমণ করে আসবেন। তিনি ইংরেজবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন, কিছু সংখ্যক অস্ট্রেলিয়াবাসী এইরূপ অভিযোগ করছেন জেনে রবীন্দ্রনাথ সেখানকার সফর বাতিল করেন; তার নাম যুক্ত করায়। ২ তখন যুরোপে প্রথম মহাযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) চলছে এবং জার্মান সাবমেরিনের আক্রমণে অনেক ব্রিটিশ ও আমেরিকান জাহাজ ডুবে যায় এবং বহু প্রাণহানি ঘটে। পত্র ৮ | ১ রাণুর পিতা ফণিভূষণ গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন ও বিশ্রামের জন্য রবীন্দ্রনাথের আহবানে সপরিবারে শান্তিনিকেতনে এসে মাসাধিককাল (৪ জুন-১০ জুলাই ১৯১৮) অবস্থান করেন। ১০ জুলাই কাশী রওনা হওয়ার সময়ে রবীন্দ্রনাথ স্টেশনে গিয়ে তাদের ট্রেনে তুলে দেন । ২ প্রাক্তন ডাকাত-সর্দার ও পরে শান্তিনিকেতন আশ্রমের পাহারাদার দ্বারী সর্দারের পুত্র হরিশ দীর্ঘকাল শাস্তিনিকেতনের বাগানে মালির কাজ করেন। ও রেলগাড়িতে বসে তাদের ভ্রমণের একটি দীর্ঘ বিবরণ রাণু রবীন্দ্রনাথকে লিখে পাঠান। দ্র. রাপু অধিকারীর পত্র, সংখ্যা ১৪। ৪ রচনা ; শান্তিনিকেতন, ২৩ চৈত্র ১৩২০ (৬ এপ্রিল ১৯১৪); গীতিমালা, ৮৭-সংখ্যক গীতবিতান ১ম খণ্ড । @88