পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি নূতন প্রজাতন্ত্র চেকোশ্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। তৎকালে প্রচলিত ভূগোল গ্রন্থগুলিতে এই রাষ্ট্রের নাম না থাকার সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে রবীন্দ্রনাথ কৌতুক করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালের একটি পত্র থেকে জানা যায়, রাণু এই নূতন রাষ্ট্রের নাম জানতেন। ২ ১৮ জুন ১৯২১ সকালে চেকোশ্লোভাকিয়ার রাজধানী প্রাগে এসে রবীন্দ্রনাথ এইদিনই দুপুর এগারোটার সময়ে স্থানীয় চেক বিশ্ববিদ্যালয়ে “The Message of the Forest' fost, with on ৩ ১৬ জুলাই ১৯২১ রবীন্দ্রনাথ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। | oمofGi b۔ ১ এই সময়ের একটি পত্র পাওয়া যায় নি যাতে রবীন্দ্রনাথ অজস্ত গুহা দেখতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সমকালীন অন্য কোনো পত্রেও প্রসঙ্গটির উল্লেখ দেখা যায় না। অনেক পরে ১২ মাঘ তিনি নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে লেখেন: মার্চ মাসের আরম্ভে হাইস্রাবাদে রওনা হব। (স্যার আকবর] হাইদরী আমাকে নিমন্ত্রণ করেচেন— অজন্ত ও ইলোরায় নিয়ে যাকেন। নন্দলালরা সেখানে ছবি কপি করবার অনুমতি পেয়েচেন। সেইজন্যেই আমাকে যেতে হচ্চে— আমি যাব এই প্রলোভনেই হাইদ্রাবাদের কর্তৃপক্ষ এই বন্দোবস্তে রাজি হয়েচেন ' ('দেশ', ৮ পৌষ ১৩৬২, পৃ. ৫৬১-৬২) হয়তো এই আমন্ত্রণ এর আগেই জানানো হয়েছিল, যার কথা রবীন্দ্রনাথ রাণুকে লিখেছিলেন। ২ প্রথম মহাযুদ্ধে জার্মানি ও তুরস্কের পরাজয়ের পরে সদ্ধির শর্ত নির্ধারণ করার জন্য প্যারিসের অদূরে ভার্সাই নগরীতে যুদ্ধরত দেশগুলির যে বৈঠক হয়, সেটিই Peace Conference নামে পরিচিত। ভার্সাই চুক্তিতে জার্মানির উপর বহুবিধ শান্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করা হয় ও যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৬৫০ কোটি পাউন্ড অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, যা জার্মানিকে চল্লিশ বছর ধরে শোধ করতে হবে। ৩ রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত ২৯ অগাস্ট ১৯২১ সোমবার য়ুনিভার্সিটি ইনস্টিটুটে প্রদত্ত সত্যের আহবান’ শীর্বক বক্তৃতাটির কথা এখানে উল্লেখ করেছেন। সেক্ষেত্রে পত্রটি রচনার তারিখ হয় ১২ ভাঘ ১৩২৮ (২৮ অগাস্ট ১৯২১)। 2●8