পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগকে লেখেন : ‘হিন্দু য়ুনিভার্সিটির কনভোকেশনে নিমন্ত্রণ পেয়েছি। প্রথমে টেলিগ্রাফ করেছিলুম যাব না। মনে করেছিলুম আমার বদলে রথীরা গিয়ে বরোদার মহারাজাকে চেপে ধরবে। কিন্তু রর্থীরা দিল্লির সপ্তভূপতিসঙ্গমে যাচ্চে— তারা যখন দিল্লিতে রাজদ্বারে ভিক্ষার্থী ঠিক সেই সময়েই বরোদা বারাণসীতে। ...তাই রাজাকে তার প্রতিশ্রুতি স্মরণ করাতে যেতে হবে। ...তোমাকে সঙ্গে নিতে চাই, তুমি সেখানে একটা লেকচার দেবে, সেটাতে বিশ্বের মধ্যে বিশ্বভারতীর স্থান তোমাকে নির্দেশ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাত্রে ছাড়ল রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাত্রে প্রত্যাবর্তনের যাত্রা করব"। (চিঠিপত্র ১২, পৃ. ২৯১-৯২) ১৩১-সংখ্যক পত্র থেকে জানা যায় রবিবারে তাদের ফেরা হয় নি— প্রতিমা দেবী, কালিদাস নাগ ও বনমালীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ২৩ জানুয়ারি বুধবার বেনারস থেকে রওনা হন ।

  • エ > ○>

১ দ্র, পত্র ১৩০ টীকা ১ । ২ নন্দিনী লালা (১৯২১-৯৫), রবীন্দ্রানুরাগী এক গুজরাটি পরিবারের সন্তান। শান্তিনিকেতনে কিছুকাল অবস্থানের সময়ে তার চিরকুল্প মা সন্তানপালনে অসমর্থ দেখে নিঃসস্তান প্রতিমা দেবী ও রথীন্দ্রনাথ তাকে দত্তক নেন। ডাক নাম পুপে। ৩ কালিদাস নাগ (১৮৯১-১৯৬৬), প্রাচ্যতত্ত্ববিদ্‌ ঐতিহাসিক পণ্ডিত, রবীন্দ্রানুরাগী এই মানুষটির দিনলিপি রবীন্দ্রজীবন-সংক্রান্ত তথ্যের মূল্যবান আকর । ৪ গল্পের পরবর্তী অংশ জানা যায় ক্যাশবইয়ের ১০ই মাঘ শ্ৰীযুত কৰ্ত্তামহাশয় ও শ্রীমতী বধুমাতা ঠাকুরাণীর কলিকাতা হইতে বোলপুর আগমন খরচ'-এর হিসাব থেকে, রবীন্দ্রনাথ আলিপুরে না গিয়ে প্রতিমা দেবীর সঙ্গেই শাস্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। পত্র ১৩২ ৷ ১ দ্র, পত্র ১২৫, টীকা ২। প্রসঙ্গটির বিত্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে সরযূবালা অধিকারীকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের ২-সংখ্যক পত্রের টীকায়। (?Ե՞Տ