পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছিলেন। শুধু রবীন্দ্রনাথের সতেরোখানি বই তিনি এইভাবে নকল করেছিলেন। এবং সেইসঙ্গে বইগুলি সজনীকান্তের কণ্ঠস্থ হয়ে গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য লিখেছেন— “কাব্য-কবিতা তো বটেই ‘গোরার’র মতো বিপুলায়তন উপন্যাসেরও বহু অংশ পরিণত বয়স পর্যন্ত তিনি অনায়াসে আবৃত্তি করতে পারতেন।” (“রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত’, পৃ. ১৩) ১৯২৪ সালে সজনীকান্ত কিছুদিনের জন্যে রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় তিনি রবীন্দ্রনাথকে সতেরোখানি তার লেখা বই নকলের কথা জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ জানতে পেরে বিস্মিত হন এবং বেশ কৌতুক বোধ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সজনীকান্ত তার ‘আত্মস্মৃতি’তে লিখেছেন—“নকলগুলি তখন পর্যন্ত আমার নিকটে কলিকাতাতেই ছিল, আমি প্রমাণ দাখিল করিলাম। এতখানি তিনিও আশা করেন নাই। তিনি সেগুলি আমার নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়া লইলেন। অনেককেই সেগুলি দেখাইয়াছেন এবং অনেকের কাছে গল্প করিয়াছেন সে কথা পরে জানিতে পারিয়াছি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার বহুমূল্য নকলগুলির কি দশা হইয়াছে তাহা আর জানিতে পারি নাই। রবীন্দ্রনাথ তাহার রচিত পরবর্তী যাবতীয় পুস্তকের এক এক খণ্ড আমাকে বিনামূল্যে দিবার হুকুম দিয়াছিলেন, ইহাতেই আমার বাল্য-কৈশোরের শ্রম সার্থক হইয়াছিল।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৩০)। বাঁকুড়া কলেজে থাকাকালীন করে। বাঁকুড়া কলেজে আই. এসসি. পাঠ সমাপ্ত করে সজনীকান্ত ১৯২০ সালে কলিকাতাস্থ স্কটিশ চার্চ কলেজে বি.এসসি. ক্লাসে ভর্তি হলেন। প্রথম দিকে তিনি ডাফ হস্টেলে ছিলেন, পরবর্তীকালে న A 为公 | A