পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২৪ সালের ২৬ জুলাই শনিবার (১০ শ্রাবণ, ১৩৩১) সাপ্তাহিক “শনিবারের চিঠি’র প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। অষ্টম সংখ্যায় সজনীকান্তের ‘ভাবকুমার প্রধান ছদ্মনামে “আবাহন’ নামে একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। প্রথাগত পড়াশুনো অর্ধপথে সমাপ্ত করে, সেইসঙ্গে অভিভাবকদেরও আর্থিক দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে, নিয়মিত ভাবে শুরু হল শনিবারের চিঠি’র আডডা। এই সময় তার সম্বল ছিল দুটি টিউশনি থেকে আয় মাসিক ৪৫ টাকা। আত্মসম্মানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তন্মধ্যে একটিতে দিলেন ইস্তফা। ২৫ টাকা আয়, মেসের ঘর-ভাড়া চুকিয়ে দৈনিক ব্যয় অসাধ্য। অতএব ২৭নং বাদুড়বাগান লেনকেত বিদায় জানাতে হল। বাস্তুহারা সজনীকান্তকে এবার উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছিলেন কবি জীবনময় রায়। তিনিই সজনীকান্তকে নিয়ে গেলেন ১০নং কর্নওয়ালিশ স্বটে, সেখানে বিশ্বভারতীর সদ্যস্থাপিত কার্যালয় ও গ্রন্থালয়। সেখানকার চারতলার একটি অব্যবহৃত ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে সজনীকান্তের আশ্রয় হয়। বিশ্বভারতী কার্যালয়ের তৎকালীন কর্মসচিব কিশোরীমোহন সাঁতরা অসুস্থ থাকায়, বিশ্বভারতীর স্থানীয় কর্ণধার ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। তার অনুমতি ছাড়া সেখানে বসবাস সম্ভব নয়। কাজেই পরের দিনই জীবনময় রায় সজনীকান্তকে নিয়ে গেলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের কাছে। এবং রবীন্দ্রনাথের বইয়ের প্রফ দেখার বিনিময়ে সেখানে থাকার অনুমতি পেলেন সজনীকান্ত। এখানে তার প্রথম গ্রন্থসম্পাদনার কাজে হাতে-খড়ি হয়। ১২৯২ বঙ্গাব্দের বালক’ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে পাঠ মিলিয়ে বিশ্বভারতী-সংস্করণ রাজর্ষি(জানুয়ারি ১৯২৫) প্রকাশের কাজে জীবনময় রায়ের সহযোগিতায় তিনি নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন। У О О