পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩২ বঙ্গাব্দের বৈশাখে সজনীকান্ত শাস্তাদেবীকে নিয়ে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন- রবীন্দ্রনাথের পঞ্চষষ্টিতম জন্মদিন উপলক্ষে। ফিরে এসে একদিন কলিকাতাস্থ বিশ্বভারতী কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারলেন, রবীন্দ্রনাথের নতুন কাব্য-গ্রন্থ ‘পূরবী'র পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হচ্ছে।‘পূরবী তিন ভাগে বিভক্ত—“পূরবী অংশে হালী পুরাতন কবিতা, পথিক' অংশে নূতন ডায়রির কবিতা এবং ‘সঞ্চিতা’ অংশে হারাইয়া যাওয়া পুরাতন কবিতা। এই প্রসঙ্গে সজনীকান্ত তার আত্মস্মৃতিতে লিখেছেন– “আধুনিক পুরাতন খুঁজতে খুঁজতে অতি পুরাতন অনেকগুলি কবিতাও আবিষ্কৃত হইল— অনেকগুলি স্বদেশী আমলের বিখ্যাত কবিতা যাহা এতাবৎকাল পরিত্যক্ত হইয়া আসিয়াছে। আমার খাতায় নকল ছিল, আমিই সেগুলি সরবরাহ করিলাম।” (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৪৩) গ, “শনিবারের চিঠি, আধুনিক সাহিত্য ও রবীন্দ্রনাথ” ১৩৩০ বঙ্গাব্দে ‘কল্লোল’-এর প্রথম প্রকাশ। আধুনিক সাহিত্যের যে প্রবল জোয়ার দেখা দিয়েছিল—তারই কলধ্বনি শুরু হয় কল্লোলে। যদিও কল্লোল গোষ্ঠী বলতে বুঝতে হবে ‘কলিকলম’ ‘ধূপছায়া', ‘প্রগতি’, ‘উত্তরা এবং কিছু পরবর্তীকালের ‘পূর্বাশার লেখক গোষ্ঠীকেও। এরা ছিলেন এক নতুন ভাবধারায় যৌবনোচিত উদ্দামে প্রগতির অনিবার্য পরিপূরক হল “শনিবারের চিঠি’। অশোক চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৩৩১ বঙ্গাব্দের ১০ শ্রাবণ (১৯২৪, ২৬ জুলাই) সাপ্তাহিক “শনিবারের চিঠি’ প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক যোগানন্দ দাস ও কর্মধ্যক্ষ ছিলেন হেমন্ত চট্টোপাধ্যায়। সাহিত্য-সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে “শনিবারের চিঠি’র জন্ম। > O○