পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের কলম, অসাধারণ তীক্ষ, সাহিত্যের অস্ত্রশালায় তার স্থান— নব-নব হাস্যরসের সৃষ্টিতে তার নৈপুণ্য প্রকাশ পাবে, ব্যক্তি বিশেষের মুখ বন্ধ করা তার কাজ নয়।.” (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৯২-৯৩) এই সময় শনিবারের চিঠি’র সম্পাদক ছিলেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী, কর্মধ্যক্ষ সজনীকান্ত। এই চিঠিটি “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত হবার ফলে বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্ত -সম্পাদিত ‘প্রগতি ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের মাঘে প্রকাশিত হল একটি মন্তব্য। তার কিয়দংশ হল— “হঠাৎ রবীন্দ্রনাথ “শনিবারের চিঠি’তে অবতীর্ণ হইয়াছেন। ঐ পত্রিকায় তাহার এই চিঠিখানি কোনোদিন ছাপা হইবে এমন বিশ্বাস র্তাহার নিশ্চয় ছিল তাই তাহার ভাষা ঐ পত্রিকার সঙ্গতি রক্ষা করিতে গিয়া তদনুযায়ী অসংলগ্ন ও অসংযত হইয়া উঠিয়াছে। সব চেয়ে মজার কথা এই যে রবীন্দ্রনাথ “শনিবারের চিঠি’র কুৎসিত ও জঘন্য ব্যঙ্গ বিদ্রপকে ‘আর্ট বলিয়া আর্টের এহেন নবতন সংজ্ঞা পাইয়া আমরা একেবারে স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছি।” ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ফাল্লুনের ‘কালিকলম’-এ বিরূপাক্ষ শর্মার ‘আর্টের আটচালা’ শীর্ষক একটি রচনা প্রকাশিত হয়। রচনাটি থেকে কিয়দংশ উদ্ধৃত হল— “কবিগুরু “শনিবারের চিঠিকে কোল দিয়েছেন। চৈতন্যদেব জগাই মাধাইকে কোল দেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পতিতোদ্ধারের এমন প্রাণমাতান উদাহরণ আর বোধ করি পাওয়া যায় নি।” মাস পরে রবীন্দ্রনাথকে “শনিবারের চিঠি’র ও ‘কল্লোল-কালিকলম’ > ○°