পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দিনের বক্তব্য ও বিবরণী ১৩৩৫ জ্যৈষ্ঠ ‘প্রবাসী’তে ‘সাহিত্যসমালোচনা’ শিরোনামায় প্রকাশিত হয়। বিশ্বভারতী-প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলীর ত্রয়োবিংশ খণ্ডে ৪৯২-৫১২ পৃষ্ঠায় প্রবন্ধ দুটি ‘সাহিত্যের পথে’ গ্রন্থে সংকলিত হয়। দ্বিতীয় দিনে আলোচনা-সভা উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বেশ গুরুগম্ভীর হয়ে উঠেছিল। এই দিনে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য শেষ হবার পর নানা জনে নানান প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং কবি সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। তন্মধ্যে কোনো এক ব্যক্তি ‘শনিবারের চিঠি’র সমালোচনারীতির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে ইতিবাচক প্রশ্ন করলে রবীন্দ্রনাথ তার উত্তরে “শনিবারের চিঠি’র সমালোচনা সম্পর্কে বলেছিলেন– “শনিবারের চিঠি’র লেখকদের সুতীক্ষ লেখনী, তাদের রচনা-নৈপুণ্যের আমি প্রশংসা করি, কিন্তু এই কারণেই তাদের দায়িত্বও অত্যন্ত বেশি ;”। ঘ, “রবীন্দ্র-বিদূষণে—শনিবারের চিঠি ও সজনীকান্ত” উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় -সম্পাদিত ১৩৩৪ আষাঢ় মাসিক ‘বিচিত্রা ১ম বর্ষ ১ম খণ্ড ১ম সংখ্যায় (পৃ. ৯-৭০), রবীন্দ্রনাথের 'নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা’ গীতিনাট্য কাব্য প্রকাশিত হয়। এই নটরাজ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সজনীকান্তের মতে— “ইহাতে সন্নিবিষ্ট বিচিত্র সুরের সুমধুর সঙ্গীতগুলি গান হইয়া কানের ভিতর দিয়া আমার মর্মে তখনও প্রবেশ করে নাই। বিচিত্রা'র পৃষ্ঠায় নিতান্ত কবিতারূপে সেগুলিকে পড়িয়ছিলাম ; ভালো লাগে নাই শ্রুতিমধুরও ঠেকে নাই। মনে হইয়াছিল, ভাবের দিক দিয়া তাহা পুরাতন রবীন্দ্রনাথেরই অনুকরণ > Oぬ