পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“শনিবারের চিঠি’র সে সম্মানের উপহার” অর্থাৎ ‘কমপ্লিমেণ্টারি কপি পরবর্তী সংখ্যাটি তিনি স্বহস্তে “রিফিউজড়”—“অগ্রাহ্য' লিখে ফেরত পাঠালেন। প্রধানতম পৃষ্ঠপোষকের এই বিমুখতায় তৎকালীন চিঠি’-র গোষ্ঠী বিন্দুমাত্র লজ্জিত বা শঙ্কিত হন নি। উপরন্তু তারা আরো নির্মমভাবে প্রমথ-বিদূষণে ব্ৰতী হয়েছিলেন। ১৩৩৪, ১৩ ফালুন (২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮), কলিকাতা সিটি কলেজ-সংলগ্ন রামমোহন ছাত্রাবাসে সরস্বতী-প্রতিমা স্থাপন করে পুজোর দাবিতে কলেজ-কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রদের সংঘর্ষজনিত গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন হিন্দুসমাজ ও ব্রাহ্মসমাজও জড়িয়ে পড়েছিল। ক্ষিপ্ত ছাত্র সমাজকে শান্ত করবার জন্য ‘প্রবাসী ও ‘মডার্ন রিভিউ”-এর সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এই সময়ে "মডার্নরিভিউ এ রবীন্দ্রনাথের একটি পত্র ও ১৩৩৫ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসী’তে —“সিটি-কলেজের ছাত্রাবাসে সরস্বতী-পূজা” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই সময়ে “শনিবারের চিঠি’ রবীন্দ্রনাথের মতকে সমর্থন জানালেন। ১৩৩৫ আষাঢ়ের “শনিবারের চিঠিতে সজনীকান্তের— “হিন্দু রিলিজিয়ন ইনসালটেড–(স্বপ্নদর্শন)”, অশোক চট্টোপাধ্যায়ের —“এই কি হিন্দু-জাগরণ” এবং যোগানন্দ দাসের—“নায়মাত্মা চৌর্যেন বা লভ্যতে” প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩৩৫ শ্রাবণ সংখ্যা “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত হয়েছিল রচিত হয়েছিল, ‘সিটি কলেজেকে কেন্দ্র করে অ্যালবার্ট হলে যে বিরাট সভা আয়োজিত হয়— তাকে ব্যঙ্গ করে। শনিগোষ্ঠীর গহন মনে আশা ছিল সদুদ্দেশ্য প্রণোদিত এই-সকল রচনা প্রকাশের মাধ্যমে প্রমথ-দূষণে-ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ কিছুটা শান্ত S S 8