পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘আত্মস্মৃতি’-তে রয়েছে—১৩৩২ এ 'পূরবী' প্রকাশকালে, সেই সময়ে সজনীকান্ত প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে তার পুরাতন সংগ্রহের বুলি থেকে রবীন্দ্রনাথের “হারিয়ে-যাওয়া’ কবিতাগুলি সরবরাহ করেছিলেন। এ ছাড়া ১৯২০ সনে ‘অক্সফোর্ড বুক অব বেঙ্গলি ভার্স’-এর যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। সেই সময়েও সজনীকান্ত প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে উপকরণ সংগ্রহে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন। কাব্য-পরিচয়ের কবিদের ঠিকানা সাগ্রহে তিনি জোগাড় করে দিয়েছিলেন সে ঘটনার উল্লেখ কিশোরীমোহন সাতরার রবীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠিতে পাওয়া যায়, তবে তার সময়কাল বোধহয় ১৯৩৭ ৷ রবীন্দ্রনাথ ‘কাব্য-পরিচয়’-এর দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য অনেক বেশি নির্ভর করেছিলেন সজনীকান্তের ওপরে। প্রমাণস্বরূপ তাকে লেখা এলাহাবাদের কোনো আধুনিক মহিলার লিখিত পত্রের ওপর, রবীন্দ্রনাথ মন্তবা লিখে সজনীকান্তের মতামত চেয়েছিলেন– কবির মন্তব্যসহ মূল চিঠিটির অংশবিশেষ এখানে দেওয়া হল—“আমার মনে হয় “বাংলা কাবা পরিচয়ে” অতুলপ্রসাদ সেন, ডাঃ সুরেন্দ্রনাথ কয়েকটি হ’লে বইটি বোধহয় আরও সুন্দর হোত। আপনার কবিতাগুলির মধ্যে “পুনশ্চের” “সাধারণ মেয়ে’টিকে দেখতে পাব আশা ছিল ; পরবর্তী সংস্করণে আশাকরি সে আশা পূর্ণ হবে। “কিনু গোয়ালার গলি” যে কত সুন্দর লেগেছে তা আপনাকে জানাতে পারলে ধন্য হতুম। S R &