পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছে প্রেরণ করেছিলেন। কবি তখন মংপুবাসী। ওই তালিকাবদ্ধ রচনাগুলি যে একান্তভাবে ‘কবিরই তা স্বয়ং কবিকে দিয়েই যাচাই করে নেওয়া— এই ছিল সজনীকান্তের বাসনা। প্রসঙ্গত কবি-অনুমিত তালিকা ক্রমান্বয়ে ১৩৪৬ বঙ্গাব্দের (কার্তিক-চৈত্র) “শনিবারের চিঠি’তে “রবীন্দ্র-রচনাপঞ্জী” এই শিরোনামায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে তা সজনীকান্তের রচিত ‘রবীন্দ্রনাথ জীবন ও সাহিত্য’ গ্রন্থে সংকলিত হয়। এই সময়ে অর্থাৎ ১৯৩৯ সালে ২২ নবেম্ভর কলকাতার সংবাদপত্রে ‘রবীন্দ্রনাথের প্রথম মুদ্রিত কবিতা আবিষ্কারের সংবাদ প্রকাশিত হয়। আবিষ্কর্তার নাম সজনীকান্ত দাস। ২১ নবেম্বর ১৯৩৯ সজনীকান্তের জীবনের এক ঐতিহাসিক স্বর্ণসন্ধ্যা। এই প্রসঙ্গে সজনীকান্ত লিখেছেন– “রবীন্দ্ররচনার নষ্টোদ্ধার ছাড়াও সেদিন তাহাকে একখানি বই একটি চিঠি দেখাইবার সৌভাগ্য হইয়াছিল। দুইটি বস্তুই কলিকাতার ফুটপাথে সংগ্রহ করা। বইটি হইতেছে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকে উপহার দেওয়া কবি বিহারীলালের গ্রন্থাবলী, বিহারীলালের স্বাক্ষর সম্বলিত। দাতা ও গ্রহীতার গৌরবেই বইখানির চরম গৌরব নহে। বালক রবীন্দ্রনাথ বইখানি পড়িয়ছিলেন এবং বইয়ের মাজিনে বিভিন্ন মন্তব্য লিখিয়া রাখিয়াছিলেন।... চিঠিখানি পাইয়াছিলাম রবীন্দ্রগ্রন্থ সত্যেন্দ্রনাথের স্বব্যবহৃত মহর্ষির আত্মজীবনীর মধ্যে। প্রথম বিলাত যাত্রার প্রাক্কালে বোম্বাইয়ে যে কিশোরী রবীন্দ্রনাথকে ভাল ইংরেজী শিখাইতে বসিয়া নিজেই ভাল বাংলা (১৮৭৮ সনে পুস্তকাকারে প্রকাশিত) যিনি সম্পূর্ণ কণ্ঠস্থ করিয়ছিলেন এবং যাঁহাকে নলিনী নাম দিয়া রবীন্দ্রনাথ কিছু গান ও কবিতা রচনা করিয়াছিলেন, চিঠিটি ১৮৭৮ সনে তিনিই লিখিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথের > ○○