পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ দ্বিতীয় সংস্করণ ‘কাব্য-পরিচয়’-এর যে খসড়া তৈরি করেছিলেন পঞ্চ পারিষদ তারই পরিমার্জিত রূপটি দেখতে রবীন্দ্রনাথ আগ্রহী ছিলেন। ১৭/৯/৩৮ তারিখে কিশোরীমোহন সাঁতরাকে রবীন্দ্রনাথ একটি পত্রে লিখেছেন– “কাব্য-পরিচয় সম্বন্ধে সজনীকে তাগিদ কোরো। একবার খসড়াটা আমার কাছে দাখিল কোরো— কারণ যখন আমার নাম থাকবে তখন দায়িত্ব আমার।” ৪ দিলীপকুমার রায় (১৮৯৭-১৯৮০)। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুত্র। প্রখ্যাত কবি, গায়ক, সুরকার ও লেখক। তিনি সঙ্গীতরত্নাকর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৩ জুন ১৯৩৮ তারিখে প্রকাশিত, রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত বাংলা কাব্য পরিচয়’ সংকলনে কবিকৃত নির্বাচিত দিলীপ রায়ের কবিতাগুলি সম্পর্কে স্বয়ং রচয়িতা বিশেষভাবে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। ২৯ জুন ১৯৩৮ কিশোরীমোহন সাঁতরা মংপুতে রবীন্দ্রনাথকে একটি চিঠিতে লেখেন—“দিলীপ রায় সম্মতি দিয়েছেন ; কিন্তু লিখেছেন ‘Selection ভাল হয় নি কিন্তু, প্রায় কারুরই নয়’।’ (দ্র: “রবীন্দ্রনাথসম্পাদিত বাংলা কাব্য পরিচয়’ দেশ, সাহিত্যসংখ্যা ১৩৮৯, श्रृं. २२) বাংলা কাব্য-পরিচয় প্রথম সংস্করণ প্রকাশের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে নানা দিক থেকে নানাবিধ অশান্তি শুরু হয়। ফলস্বরূপ পরিশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণের “কাব্য-পরিচয়’ নির্বাচন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ নিজেকে অনেক ক্ষেত্রেই বিরত করেন এবং সেইসব স্থানে পঞ্চসদস্যের পরিষদের সহায়তা গ্রহণ করেন। সজনীকান্ত ছিলেন এই পরিষদের অন্যতম সদস্য কিন্তু তার নামোল্লেখে দিলীপ রায় কিঞ্চিৎ বিচলিত হতে পারেন এই আশঙ্কায় রবীন্দ্রনাথ দিলীপ রায়ের নিকট সজনীকান্তের নাম এক্ষেত্রে আর উল্লেখ করেন নি। পত্র-১২ ১ ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের আর্থিক উদ্যোগে ও সজনীকান্তের সম্পাদনায় ‘অলকা’ আত্মপ্রকাশ করে ১৩৪৫ আশ্বিনে। > @ O